আমি কে...
আমি কে, আমি কেমন?
সভাব যেমন, ঠিক তেমন।
চলাফেরা, কথার বচন-
যেমন-যেমন, ঠিক তেমন।
এই যে ঘোরে সমাজপাটে-
দু’পা ফেলে নীরব হাঁটে।
দূরন্ত দূর দৃষ্টিহারা-
কার ইশারায় কার পাহারা।
ক্ষণেক তিথি ধরার স্বজন-
মুসাফির সরব জনন।
শুক্রাণুর ওই শুষ্ক মাঠে-
সওদা করি জলজ হাটে।
সেই মানুষ, আপন প্রাণে সরল মন।
অগনন ইঙ্গিতে তাঁর প্রাণ স্মরণ।
ঈষৎ হাসি, শব্দ চাষি-
তেমন বটে, যেমন-যেমন।
আমি তেমন। আমি কেমন?
পাখির ডানায় উড়ে যাওয়া,
হাওয়ার মত মিলিয়ে ধাওয়া।
বিন্দু-বিন্দু জলের কণা-
চিকচিক রূপ আলোর সোনা।
রোদ্র আলোয় খেলার ছলে-
বিস্মৃতি সেই কথা বলে।
আপন মনে, লেখার ক্ষণে
মেঘের কপাল শীতলতায়-
বৃষ্টি দিয়ে দৃষ্টি হারায়।
সেই স্বরূপে অরূপ আমি-
নিজের কাছে নিজেই দামী।
এমন ভাবেই থাকি তেমন-
যেমন-যেমন। আমি কেমন?
বলতে পার একটি পাখি-
ক্ষণবর মৌসুমে থাকি।
কিংবা বল প্রজাপতি ক্ষুদ্রমাছি-
মশার মত যেমন বাঁচি।
তৃণলতা, পরগাছা গাছ-
সাঁতার কাটা তিতপুঁটি মাছ।
ব্যাঙের ছানা, জলে ভাসা টোপাপানা-
বলতে পার থানকুনি ফুল-
দোদুল দুলে, অকুলের কুল।
পিঁপড়া মশাই, শুয়োপোকা-
মায়ের কোলে ছোট্র খোকা।
অভিন্ন নয় এইযে আমি-
ধরার মাঝে মাঝির যামী।
সকল ভিতর সদা গতিমান-
নিষিক্ত রস স্রোতের প্রাণ।
কালের খেয়া বহমান যেমন-
আমি তেমন। আমি কেমন?
বিন্দু জলে শিশির ফোটা-
তড়িৎ গতিময়েই ছোটা!
স্থিরতা পাহাড়সম অহংকারী-
সূর্যমূখী পুস্পসভার দর্পহারী।
বলতে পার রাখাল রাজা-
মহারাজ্যের অনু প্রজা।
পাহাড় ভাঙ্গা পথের ধুলি,
দোয়েল ছানার প্রথম বুলি।
সূর্যকণার শক্তি আঁধার।
সত্য-মিথ্যা সকল ধাঁধাঁর।
জলে-স্থলে মিথস্ক্রীয়ায়-
একসত্তার বহতা রূপে ক্রমধারায়।
চলছি আমি, অবিরত-
ক্রমাগত ধারা খেলায় রক্তক্ষত।
যদিও ভিন্ন স্বরূপ অবিকলে-
আঁধার ঘরে অগ্নি জ্বলে।
জ্বালাই নিত্য মহাকালে, কালের পথে।
চঞ্চলাভাব দূরন্ততায় উজ্জ্বলে-
নিজের সভাব বদলে ফেলি-
পরিবেশের ডানায় তখন পাখনা মেলি।
সকল স্বরূপ আমি নিজে-
স্বয়ংক্রিয়া ঘটাই শুধু সৃষ্টি কাজে।
এই যে আমি ক্ষুদ্রকণা--
মহাভান্ডার অভিন্ন এক সৃষ্টিদানা।
-- শাহানুর আলম উজ্জ্বল,বাংলাদেশ
৬ই জুলাই ২০১৯
-- শাহানুর আলম উজ্জ্বল,বাংলাদেশ
৬ই জুলাই ২০১৯