নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলাঃ
২০ বছরেরও বেশী সময় ধরে অটিস্টিক চাইল্ডদের নিয়ে কাজ করে চলেছে দীপ স্পিচ এন্ড হিয়ারিং ক্লিনিক। বাবামায়ের মুখে হাসি ফুটিয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিকত্বে ফিরিয়ে আনার এক সুস্থ ও সুন্দর আলোর ঠিকানা গড়ে তুলেছে এই সংস্থাটি। দেশ ও সমাজের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের মূল বাহক আজকের শিশুরা যাতে সুশিক্ষায় সুস্থ এবং সুন্দর জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে আগামীদিনের সুনাগরিক হয়ে উঠে তারই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে দীপ ক্লিনিক। প্রতি বছরই দীপ স্পিচ এন্ড হিয়ারিং ক্লিনিকের উদ্যোগে বাচ্চাদের নিয়ে নানা কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের সহকারী সম্পাদক স্বামী বোধিসত্বানন্দজী। এছাড়াও ছিলেন হলিক্রস কলেজের অধ্যাপক তাপসী সাহা, সংস্থার উপদেষ্টা দীপক মজুমদার এবং পরিচালিকা মৌমিতা দাসগুপ্তা।
২০ বছরেরও বেশী সময় ধরে অটিস্টিক চাইল্ডদের নিয়ে কাজ করে চলেছে দীপ স্পিচ এন্ড হিয়ারিং ক্লিনিক। বাবামায়ের মুখে হাসি ফুটিয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিকত্বে ফিরিয়ে আনার এক সুস্থ ও সুন্দর আলোর ঠিকানা গড়ে তুলেছে এই সংস্থাটি। দেশ ও সমাজের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের মূল বাহক আজকের শিশুরা যাতে সুশিক্ষায় সুস্থ এবং সুন্দর জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে আগামীদিনের সুনাগরিক হয়ে উঠে তারই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে দীপ ক্লিনিক। প্রতি বছরই দীপ স্পিচ এন্ড হিয়ারিং ক্লিনিকের উদ্যোগে বাচ্চাদের নিয়ে নানা কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়ে থাকে।
বুধবার(২১ আগস্ট) আগরতলা প্রেস ক্লাবে তেমনি একটি ভিন্নধর্মী কর্মসূচীর আয়োজন করে সংস্থাটি। ৭৩তম স্বাধীনতা দিবস ও রাখী বন্ধন উৎসবকে মাথায় রেখে সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে আয়োজন করা হয় এক ব্যতিক্রমী রাখী বন্ধন কর্মসূচীর।সংস্থার এবং উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে একে অপরকে রাখী পরিয়ে এক বিশ্ব বন্ধুত্বের বার্তা দেওয়া হয় এই কর্মসূচীতে। উল্লেখ্য এই রাখীগুলি পরিচালিকা মৌমিতা দাসগুপ্তের তত্বাবধানে শিশু শিক্ষার্থীরা নিজ হাতে তৈরী করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের সহকারী সম্পাদক স্বামী বোধিসত্বানন্দজী। এছাড়াও ছিলেন হলিক্রস কলেজের অধ্যাপক তাপসী সাহা, সংস্থার উপদেষ্টা দীপক মজুমদার এবং পরিচালিকা মৌমিতা দাসগুপ্তা।
অতিথিরা তাদের বক্তব্যে রাখী বন্ধনের গুরুত্ব এবং আজকের দিনে তা কতটা প্রাসঙ্গিক এনিয়ে তথ্য সহ বিস্তারিত তুলে ধরেন।
ঐদিনই সংস্থার এক শিশু শিক্ষার্থীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে সবার সাথে আনন্দ ভাগ করে নিতে কেকও কাটা হয়। এই আনন্দে গা ভাসায় অভিভাবক, শিশু শিক্ষার্থী সহ রাজ্যের গুণীজনেরা।
অনুষ্ঠানে যে সকল মায়েরা শিশুদের প্রশিক্ষণকালে বিশেষ সহযোগিতার নিদর্শন রেখেছেন তাদেরকে সংস্থার তরফে ফুল এবং উপহার দিয়ে সম্মান প্রদর্শন করা হয়।মায়েরা তাদের বক্তব্যে দীপ ক্লিনিকের প্রশিক্ষণ এবং নানা কর্মসূচীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এছাড়াও বিশেষ সহযোগিতা করার জন্য রাজ্যের বিশিষ্টজন তথা নিউ মানিক্য প্রেসের কর্ণধার পরিবার তন্ময় রায় চৌধুরী ও অনামিকা রায় চৌধুরী, নৃত্যশিল্পী পিয়ালি বর্ধন, সঙ্গীতশিল্পী অলক দেব সহ উদ্যোগপতি রাহুল বণিককেও সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। পরিশেষে অভিভাবক সহ শিশুদের নিয়ে এক অভিনব সাংস্কৃতিক পর্বে সবাই মেতে উঠে।
এদিনের গোটা আয়োজনে একে অপরকে রাখী পরিয়ে দীপ স্পিচ এন্ড হিয়ারিং ক্লিনিক যে বন্ধুত্বের বার্তা দিলো তা নিঃসন্দেহে আগামীদিনে সবার কাছে এক উদাহরণ হয়ে থাকবে তা বলা যেতেই পারে।অনুষ্ঠানটিকে সার্বিকভাবে সফল করে তোলার জন্য সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা দেবল মজুমদার উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
ছবিঃ নিজস্ব
২২শে আগস্ট ২০১৯