বিনোদন বিভাগ,আগরতলাঃ
শীতকালে খেজুরের রস,পিঠেপুলি আর যাত্রাপালা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ছিলো এক সময়ে। কালের প্রবাহে তা আজ লুপ্তপ্রায়। সেই ৬০-৭০ এর দশকে শীতের সূচনাকালেই আগরতলার শিশু উদ্যানে কলকাতার বিখ্যাত যাত্রা দলগুলির তাবু পড়তো । আগরতলা শহরের বিভিন্ন জায়গায়ও স্থানীয় অপেশাদার বেশ কয়েকটি দল দর্শকদের জমজমাট যাত্রাপালা উপহার দিতো ।
লোকসংস্কৃতির এই শক্তিশালী মাধ্যমটিকে বাঁচিয়ে রাখার দায়বদ্ধতা নিয়ে ১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) পিপলস থিয়েটার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২নং প্রেক্ষাগৃহের মঞ্চে অভিনয় করলো যাত্রাপালা " সাঁওতাল বিদ্রোহ "।
হলভর্তি দর্শক প্রাণভরে উপভোগ করলেন অভিনয় সৌকর্ষে সমৃদ্ধ একটি প্রযোজনা। ১৮৫৫ সালের সিদু-কানুর নেতৃত্বে তৎকালীন ইংরেজ শাসকদের বিরুদ্ধে সাঁওতালদের লড়াই ছিলো যাত্রাপালার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।অভিনেতা অভিনেত্রীদের সাঁওতাল ভাষার সংলাপ প্রক্ষেপণ ছিলো সাবলীল।
বহুদিন পর হারিয়ে যাওয়া প্রিয় জিনিষ খুঁজে পেলে মনে যে অনাবিল আনন্দ জাগে, হলভর্তি দর্শক এই যাত্রাপালাটি দেখে ঠিক তেমনি আনন্দ পেয়েছে । অভিনয়ে সকলেই বেশ সপ্রতিভ ছিলেন।তার মধ্যে সিদু চরিত্রে অমিত দে, কানু চরিত্রে তাপস কল্যাণ ভট্টাচার্যের অভিনয় পালাটির সম্পদ। মহিলা চরিত্রে ছিবলীর ভূমিকায় মীনাক্ষী ঘোষ ও ঝুমকির ভূমিকায় অঙ্গনা নন্দী চরিত্রানুগ অভিনয় করেছেন। এছাড়াও কর্নেল নিকেলসনের চরিত্রে অর্পণ ব্যানার্জি, রামলালের চরিত্রে সঞ্জয় দেব, চূড়ামাঝির চরিত্রে কমলেন্দু রাউত এবং মুগলালের চরিত্রে নারায়ণ দেব সুন্দর অভিনয় করেছেন। সৌমেন্দ্র নন্দীর আবহ, সুজিত সরকারের আলো পালাটিকে সফল করতে অন্যতম ভূমিকা গ্রহণ করেছিলো।সব মিলিয়ে বহুদিন পর আগরতলার যাত্রাপ্রেমী মানুষ একটি পরিপূর্ণ যাত্রাপালার স্বাদ গ্রহণ করতে পারলেন এই বলা চলে।
ছবিঃ নিজস্ব
২০শে জানুয়ারি ২০২০
শীতকালে খেজুরের রস,পিঠেপুলি আর যাত্রাপালা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ছিলো এক সময়ে। কালের প্রবাহে তা আজ লুপ্তপ্রায়। সেই ৬০-৭০ এর দশকে শীতের সূচনাকালেই আগরতলার শিশু উদ্যানে কলকাতার বিখ্যাত যাত্রা দলগুলির তাবু পড়তো । আগরতলা শহরের বিভিন্ন জায়গায়ও স্থানীয় অপেশাদার বেশ কয়েকটি দল দর্শকদের জমজমাট যাত্রাপালা উপহার দিতো ।
লোকসংস্কৃতির এই শক্তিশালী মাধ্যমটিকে বাঁচিয়ে রাখার দায়বদ্ধতা নিয়ে ১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) পিপলস থিয়েটার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২নং প্রেক্ষাগৃহের মঞ্চে অভিনয় করলো যাত্রাপালা " সাঁওতাল বিদ্রোহ "।
হলভর্তি দর্শক প্রাণভরে উপভোগ করলেন অভিনয় সৌকর্ষে সমৃদ্ধ একটি প্রযোজনা। ১৮৫৫ সালের সিদু-কানুর নেতৃত্বে তৎকালীন ইংরেজ শাসকদের বিরুদ্ধে সাঁওতালদের লড়াই ছিলো যাত্রাপালার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।অভিনেতা অভিনেত্রীদের সাঁওতাল ভাষার সংলাপ প্রক্ষেপণ ছিলো সাবলীল।
বহুদিন পর হারিয়ে যাওয়া প্রিয় জিনিষ খুঁজে পেলে মনে যে অনাবিল আনন্দ জাগে, হলভর্তি দর্শক এই যাত্রাপালাটি দেখে ঠিক তেমনি আনন্দ পেয়েছে । অভিনয়ে সকলেই বেশ সপ্রতিভ ছিলেন।তার মধ্যে সিদু চরিত্রে অমিত দে, কানু চরিত্রে তাপস কল্যাণ ভট্টাচার্যের অভিনয় পালাটির সম্পদ। মহিলা চরিত্রে ছিবলীর ভূমিকায় মীনাক্ষী ঘোষ ও ঝুমকির ভূমিকায় অঙ্গনা নন্দী চরিত্রানুগ অভিনয় করেছেন। এছাড়াও কর্নেল নিকেলসনের চরিত্রে অর্পণ ব্যানার্জি, রামলালের চরিত্রে সঞ্জয় দেব, চূড়ামাঝির চরিত্রে কমলেন্দু রাউত এবং মুগলালের চরিত্রে নারায়ণ দেব সুন্দর অভিনয় করেছেন। সৌমেন্দ্র নন্দীর আবহ, সুজিত সরকারের আলো পালাটিকে সফল করতে অন্যতম ভূমিকা গ্রহণ করেছিলো।সব মিলিয়ে বহুদিন পর আগরতলার যাত্রাপ্রেমী মানুষ একটি পরিপূর্ণ যাত্রাপালার স্বাদ গ্রহণ করতে পারলেন এই বলা চলে।
ছবিঃ নিজস্ব
২০শে জানুয়ারি ২০২০