আবু আলী, ঢাকা ॥
আগরতলার সীমায় বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, সীমান্তের কাছে ৩৫ ফুটের চেয়ে বেশি উচ্চতার ভবন করা যাবে না মর্মে আপত্তি জানিয়েছে বিএসএফ। ভিত্তি প্রস্তরের কাজ শেষ করে নিচতলার রডের পিলারের কাজ চলাকালে বিজিবির মাধ্যমে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার বার্তা পাঠায় বিএসএফ।
এসপি জানান, এর আগে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে প্রথম দফায় নির্মাণ কাজে বাঁধা দেয় বিএসএফ। এরপর দ্বিতীয় দফা বাঁধা দিলে ভবনের নকশা পরিবর্তন করে পুলিশ সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে নতুন নকশাটি বিজিবির মাধ্যমে তাদের কাছে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ গোলাম কবির বলেন, বিএসএফ তাদের আপত্তির কথা আমাদেরকে জানানোর পর আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। এখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এই বিষয়টি নিষ্পত্তি করবে। বিষয়টি নিয়ে বিজিবির করার কিছু নেই। বিষয়টি সমাধানের পরে আমরা ফের পুলিশকে অবহিত করবো।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল হামিদ জানান, গত ২০১৬ সালে এই ভবন নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। মেসার্স বিজনেস সিন্ডিকেট ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান ভবন নির্মাণের দায়িত্ব পান। ছয় তলা ভবনের মধ্যে দোতলা পর্যন্ত নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ছয় কোটি ২৫ লাখ টাকা।
জানা গেছে, কার্যাদেশ পাওয়ার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ সামগ্রী এনে জড়ো করার পর ২০১৭ সালের মার্চ মাসে বিজিবির মাধ্যমে বিএসএফ নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার কথা বলে। এরপর প্রায় আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার তত্ত্বাবধানে পুনরায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে নির্মাণ কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। ভিত্তি প্রস্তর শেষ করে নিচতলার পিলারের কাজ চলাকালে নকশা নিয়ে আপত্তি তুলে আবারও নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে বিএসএফ।
এসআই আবদুল হামিদ জানান, প্রতিদিন আখাউড়া চেকপোস্টের মাধ্যমে হাজারেরও বেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারত ও বাংলাদেশে যাতায়াত করেন। কিন্তু বর্তমান দুই কক্ষের একতলা ইমিগ্রেশন ভবনটি যাত্রীর তুলনায় বেশ ছোট এবং জরাজীর্ণ। বৃষ্টি হলে ভবনের সামনের অংশ ডুবে গিয়ে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে। এ অবস্থায় ভ্রমণকারীরা আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন একটি নতুন ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণের দাবি করে আসছিলেন।
২১শে জানুয়ারি ২০২০