অমর একুশে গ্রন্থমেলা এখন মোটিভেশনাল বইয়ের মেলা হয়ে উঠেছে। যা সত্যিই দুঃখের। আমাদের এ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সাহিত্যের মেলা যেন সাহিত্যেরই থাকে- এ বিষয়টায় জোর দেয়ার সময় এসেছে। বাংলা একাডেমিকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির কাজের জায়গা রয়েছে এখানে।
আমাদের শোভা প্রকাশ থেকে আমরা চেষ্টা করি সাহিত্যের মান বজায় রেখে বই বের করতে। কিন্তু কষ্ট লাগে তখনই যখন অনেক প্রকাশক এই সাহিত্য মানের সঙ্গে আপস করেন। তারা বাণিজ্যকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে ভালো সাহিত্যের বইকে পাশ কাটিয়ে যান। একই সঙ্গে বের করেন বিভিন্ন রকম মোটিভেশনাল বই। এই বইগুলো আবার বেস্ট সেলারও হয়! মানুষের হতাশাকে পুঁজি করে ব্যবসা করাটা অনুচিত, বিশেষ করে বইমেলায় এটা একেবারেই বেমানান, অশোভন। সস্তা মোটিভেশনাল বইয়ের কারণে কমছে খাঁটি সাহিত্যের বইয়ের কদম। কমছে বিক্রি। সার্বিকভাবে যা সাহিত্যের বাজারে প্রভাব ফেলছে। নতুন লেখকের বই মার খেয়ে যাচ্ছে।
আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, শোভা প্রকাশের মতো নানান রকম সৃজনশীল বই খুব কম প্রকাশকই নিয়ে আসতে পেরেছেন। মুজিব বর্ষকে ঘিরে আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর একাধিক বই প্রকাশ করেছি। এমনকি আমাদের ১২ নম্বর প্যাভিলিয়ন সাজানো হয়েছে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির আলোকে। এটা নানা মহলে প্রশংসিত হয়েছে। নিজেদের বিচার বিশ্লেষণ, চিন্তা থেকে এভাবে স্টল সাজিয়েছি আমরা।
প্রকাশিত বই:
২০২০ বইমেলায় আমরা বের করেছি সনজীদা খাতুনের রবীন্দ্রকবিতার গহনে। বইটির গায়ের মূল্য ৩০০ টাকা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক তারেক শামসুর রেহমানের তিনটি বই এবার বেরিয়েছে। প্রতিবারই তার বই থাকে শোভা প্রকাশ থেকে। এ বছর এসেছে, ভারত মহাসাগর: ভারত-চীন দ্বন্দ্ব। চীন বিপ্লবের ৭০ বছর এবং ইরান সংকট ও উপসাগরীয় রাজনীতি।
এছাড়া আবদুল মান্নান সৈয়দের নির্বাচিত প্রবন্ধ, নাজমুল হাসান তালুকদারের জসীম উদদীনের গদ্যবৈভব, অভিনেতা ও নাট্যনির্মাতা কচি খন্দকারের গল্পের বই এক ঢিলে দশ পাখি, আনোয়ারা সৈয়দ হকের মুক্তিযুদ্ধ রচনাসমগ্র-১, মুক্তিযুদ্ধ রচনাসমগ্র-২ প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়া প্রয়াত কবি সৈয়দ শামসুল হকের শ্রেষ্ঠ কিশোর কবিতাও প্রকাশ করেছে শোভা।
আমাদের শোভা প্রকাশ থেকে আমরা চেষ্টা করি সাহিত্যের মান বজায় রেখে বই বের করতে। কিন্তু কষ্ট লাগে তখনই যখন অনেক প্রকাশক এই সাহিত্য মানের সঙ্গে আপস করেন। তারা বাণিজ্যকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে ভালো সাহিত্যের বইকে পাশ কাটিয়ে যান। একই সঙ্গে বের করেন বিভিন্ন রকম মোটিভেশনাল বই। এই বইগুলো আবার বেস্ট সেলারও হয়! মানুষের হতাশাকে পুঁজি করে ব্যবসা করাটা অনুচিত, বিশেষ করে বইমেলায় এটা একেবারেই বেমানান, অশোভন। সস্তা মোটিভেশনাল বইয়ের কারণে কমছে খাঁটি সাহিত্যের বইয়ের কদম। কমছে বিক্রি। সার্বিকভাবে যা সাহিত্যের বাজারে প্রভাব ফেলছে। নতুন লেখকের বই মার খেয়ে যাচ্ছে।
আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, শোভা প্রকাশের মতো নানান রকম সৃজনশীল বই খুব কম প্রকাশকই নিয়ে আসতে পেরেছেন। মুজিব বর্ষকে ঘিরে আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর একাধিক বই প্রকাশ করেছি। এমনকি আমাদের ১২ নম্বর প্যাভিলিয়ন সাজানো হয়েছে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির আলোকে। এটা নানা মহলে প্রশংসিত হয়েছে। নিজেদের বিচার বিশ্লেষণ, চিন্তা থেকে এভাবে স্টল সাজিয়েছি আমরা।
প্রকাশিত বই:
২০২০ বইমেলায় আমরা বের করেছি সনজীদা খাতুনের রবীন্দ্রকবিতার গহনে। বইটির গায়ের মূল্য ৩০০ টাকা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক তারেক শামসুর রেহমানের তিনটি বই এবার বেরিয়েছে। প্রতিবারই তার বই থাকে শোভা প্রকাশ থেকে। এ বছর এসেছে, ভারত মহাসাগর: ভারত-চীন দ্বন্দ্ব। চীন বিপ্লবের ৭০ বছর এবং ইরান সংকট ও উপসাগরীয় রাজনীতি।
এছাড়া আবদুল মান্নান সৈয়দের নির্বাচিত প্রবন্ধ, নাজমুল হাসান তালুকদারের জসীম উদদীনের গদ্যবৈভব, অভিনেতা ও নাট্যনির্মাতা কচি খন্দকারের গল্পের বই এক ঢিলে দশ পাখি, আনোয়ারা সৈয়দ হকের মুক্তিযুদ্ধ রচনাসমগ্র-১, মুক্তিযুদ্ধ রচনাসমগ্র-২ প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়া প্রয়াত কবি সৈয়দ শামসুল হকের শ্রেষ্ঠ কিশোর কবিতাও প্রকাশ করেছে শোভা।
প্রায় ছয়টি নতুন উপন্যাস বেরিয়েছে। রয়েছে গল্প, কবিতার বই, অটিজম নিয়ে স্বাস্থ্যের বইও রয়েছে।
এছাড়াও মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে ১০ খানার বেশি বই মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিব নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে শাহনেওয়াজ চৌধুরীর শেখ মুজিব বুকের রক্তে লেখা নাম। বঙ্গবন্ধু তোমার জন্য। আমাদের বঙ্গবন্ধু। অসমাপ্ত আত্মজীবনীর শেখ মুজিব। টুঙ্গিপাড়ায় মুজিবের বুকের কাছে অন্যতম।
পরিশেষে বলতে চাই বইমেলা হোক আরও সুন্দর। বইয়ের মান নিয়ন্ত্রণে জোর দেয়ার সময় এখন এসেছে। কর্তৃপক্ষকে সে আহ্বান জানাবো। এছাড়া সরকারিভাবে যেন সৃজনশীল বই কেনার উদ্যোগ বাড়ানো হয়, এটাই প্রত্যাশা। এবার মেলার পরিবেশ খুব ভালো। আশা করছি আগামী দিনগুলোতে ক্রেতা আরও বাড়বে। ২৯শে ফেব্রুয়ারি অব্দি এ বছর মেলা চলবে।
আরশিকথা প্রচার-বিনোদন বিভাগ
লেখক:
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, প্রকাশক, শোভা প্রকাশ
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, প্রকাশক, শোভা প্রকাশ
অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২০- প্যাভিলিয়ন নম্বর ১২
১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২০