আবু আলী, ঢাকা ॥
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে ৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। খবর নিশ্চিত করেছেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা। ১৮ মার্চ দুপুরে তিনি বলেন, নতুন চারজন রোগীসহ দেশে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪ জনে।
নতুন আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে একজন নারী ও তিনজন পুরুষ। এর মধ্যে তিনজন এসেছেন বিদেশ থেকে। একজন আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে। সাবরিনা ফ্লোরা আরও জানান, যে ব্যক্তি মারা গেছেন তার বয়স ৭০ এর বেশি। তার ফুসফুসে শ্বাসকষ্ট সমস্যা (সিওপিডি) ছিল। এছাড়া কার্ডিয়াক সমস্যাও ছিল, কিডনি জটিলতাও ছিল।
সাবরিনা আরও জানান, যিনি মারা গেছেন তিনি বিদেশ ফেরত ছিলেন না। লোকাল সংক্রমণে তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন। জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনে ফোন এসেছে ৪ হাজার ৮৫৭টি। এর মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ফোন ৪ হাজার ৬৪২টি। নতুনভাবে ৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ দিয়ে মোট ৩৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলো। এছাড়া ১৫ জন আইসোলেশনে আছেন। ৪২ জনকে রাখা হয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনা প্রতিরোধে সরকার কঠোরভাবে নজর দেবে। আন্তঃজেলায় যান চলাচল বন্ধের প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোট কথা মানুষকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের যেখানে শাটডাউন প্রয়োজন সেখানেই তা করা হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে সরকারিভাবে কঠোর নজর দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকরাও সঠিক রিপোর্ট করবেন। আমরা আজ প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। সব রাজনৈতিক দলের কাছে অনুরোধ, করোনা অভিন্ন শত্রু। এটি নিয়ে কোনো পলিটিক্স না করে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবহন মালিলিকরা হতাশ, যাত্রী কমে গেছে। এগুলো অটোমেটিক্যালি কমে যাবে। পরিস্থিতি সেদিকে যাচ্ছে। এরপর সরকার প্রয়োজন মনে করলে ব্যবস্থা নেবে।’
তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের ডিরেক্টর জেনারেল গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছেন- সেখানে কথা একটাই ছিল, টেস্ট টেস্ট অ্যান্ড টেস্ট। তিনি টেস্ট শব্দটি তিনবার উচ্চারণ করেছেন। তিনি টেস্টের ওপর গুরুত্ব দিতে বলেছেন। আমরাও সেটি অনুসরন করে এগিয়ে যাব। সারাবিশ্বের জন্য এটি নতুন অভিজ্ঞতা। মানসিকভাবে আমরা ওয়েল ইক্যুয়িড। এটা একটা বড় শক্তি। আমরা এখন ইক্যুয়িপমেন্টের ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, সভা-সমাবেশে যাব না। সেজন্য বঙ্গবন্ধুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সীমিত করেছি। টুঙ্গিপাড়ার মানুষের ঢল নামার কথা, সেখানে আমরা অনেক সীমিত করেছি। এ সময় তিনি করোনা মোকাবিলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
১৮ই মার্চ ২০২০
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে ৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। খবর নিশ্চিত করেছেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা। ১৮ মার্চ দুপুরে তিনি বলেন, নতুন চারজন রোগীসহ দেশে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪ জনে।
নতুন আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে একজন নারী ও তিনজন পুরুষ। এর মধ্যে তিনজন এসেছেন বিদেশ থেকে। একজন আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে। সাবরিনা ফ্লোরা আরও জানান, যে ব্যক্তি মারা গেছেন তার বয়স ৭০ এর বেশি। তার ফুসফুসে শ্বাসকষ্ট সমস্যা (সিওপিডি) ছিল। এছাড়া কার্ডিয়াক সমস্যাও ছিল, কিডনি জটিলতাও ছিল।
সাবরিনা আরও জানান, যিনি মারা গেছেন তিনি বিদেশ ফেরত ছিলেন না। লোকাল সংক্রমণে তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন। জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনে ফোন এসেছে ৪ হাজার ৮৫৭টি। এর মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ফোন ৪ হাজার ৬৪২টি। নতুনভাবে ৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ দিয়ে মোট ৩৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলো। এছাড়া ১৫ জন আইসোলেশনে আছেন। ৪২ জনকে রাখা হয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনা প্রতিরোধে সরকার কঠোরভাবে নজর দেবে। আন্তঃজেলায় যান চলাচল বন্ধের প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোট কথা মানুষকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের যেখানে শাটডাউন প্রয়োজন সেখানেই তা করা হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে সরকারিভাবে কঠোর নজর দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকরাও সঠিক রিপোর্ট করবেন। আমরা আজ প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। সব রাজনৈতিক দলের কাছে অনুরোধ, করোনা অভিন্ন শত্রু। এটি নিয়ে কোনো পলিটিক্স না করে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবহন মালিলিকরা হতাশ, যাত্রী কমে গেছে। এগুলো অটোমেটিক্যালি কমে যাবে। পরিস্থিতি সেদিকে যাচ্ছে। এরপর সরকার প্রয়োজন মনে করলে ব্যবস্থা নেবে।’
তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের ডিরেক্টর জেনারেল গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছেন- সেখানে কথা একটাই ছিল, টেস্ট টেস্ট অ্যান্ড টেস্ট। তিনি টেস্ট শব্দটি তিনবার উচ্চারণ করেছেন। তিনি টেস্টের ওপর গুরুত্ব দিতে বলেছেন। আমরাও সেটি অনুসরন করে এগিয়ে যাব। সারাবিশ্বের জন্য এটি নতুন অভিজ্ঞতা। মানসিকভাবে আমরা ওয়েল ইক্যুয়িড। এটা একটা বড় শক্তি। আমরা এখন ইক্যুয়িপমেন্টের ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, সভা-সমাবেশে যাব না। সেজন্য বঙ্গবন্ধুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সীমিত করেছি। টুঙ্গিপাড়ার মানুষের ঢল নামার কথা, সেখানে আমরা অনেক সীমিত করেছি। এ সময় তিনি করোনা মোকাবিলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
১৮ই মার্চ ২০২০