নারী জাতিকে দেবীতুল্য স্থানে বসানোর পরেও সে জাতির অবমাননা কেন তা ভাবতে বসে মনে হল সমস্যাটা ঠিক ওই খানেই, দেবীতূল্য ভাবনাতে।দেবীর থাকার জায়গা অন্দরমহলের পবিত্রতায়ে ।তার সাজ সজ্জায়ে ও থাকবে সে ছাপ।সবার আশা,আকাঙ্খা পূরণ করতেই তার ওখানে স্থান।দেবীতূল্য নারী জাতিকে হতে হবে সেই রকম তাকে তার সংসারের জন্য দিতে হবে খুচরো বলিদান। তাকে হয়ে উঠতে হবে দশভূজা। "যে মেয়ে রাঁধে সে মেয়ে চুলও বাঁধে" তাই তাকে একসাথে সামলাতে হবে অফিস ও সংসার। হয়তো এখনকার নারীবাদীরা প্রচলিত ভাবনা গুলোকে একটু তলিয়ে দেখতে শিখেছে। তাই তারা নারী জাতিকে দেবীর স্থান থেকে নামিয়ে এক সাধারন মানুষের জায়গায় বসিয়ে চেয়েছে শুধু সমান অধিকার যা তার অপর লিঙ্গ পেয়ে আসছে। আজকের নারীরা আর অন্দরমহলে সীমিত থাকতে চায়না নারীর কন্ঠে কবির ভাষায় ধ্বনিত হয় ,
"যাব না বাসর কক্ষে বধু বেশে বাজায় কিঙ্কিণী"
আজ নারী চায়না সবার আশা- আকাঙ্ক্ষার মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে। সে চায় সেই সম্মান যা প্রতিটি মানুষের জন্যই বরাদ্দ। সে চায়না তার জামা বা সাজসজ্জা দিয়ে বিচার করা হোক তার চরিত্র। এই যুগের নারী হয়ে আমি চাই এমন এক পৃথিবী যেখানে কাগজের পাতায় পাতায় থাকবে না রেপ বা বধু হত্যা, যেখানে কোন পুরুষের ঠুনকো পৌরুষত্ব মাঝরাস্তায় এসিড এ পোড়াবে না কোন মেয়ে ও তার স্বপ্নকে, কোন মেয়েকে পণ এর জন্য জ্বলতে হবে না জ্বলন্ত আগুনে।
প্রতিটি নারী কণ্ঠে ধ্বনিত হোক,
" শুধু শূন্যে চেয়ে রব?
কেন নিজে নাহি লব চিনে সার্থকের পথ? "
তৃষা সরকার, কলকাতা
৮ই মার্চ ২০২০
তৃষা সরকার, কলকাতা
৮ই মার্চ ২০২০