'বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যানকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী,অর্ধেক তার নর'
আজ আট'ই মার্চ,বিশ্ব নারী দিবস। দিবসটি পালন করার নেপথ্যে রয়েছে নারী শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। আঠারো'শ সাতান্ন শালে শ্রম ঘণ্টা নির্ধারণ,মজুরি বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সূতা কারখানার নারীরা রাস্তায় নেমেছিলেন। ঊণিশ'শ আট শালে নিউ ইয়র্কের স্যোশাল ডেমোক্র্যাট সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ও রাজনৈতিক ক্লারা জেটকিনের নেত্রিত্ত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সন্মুখের হয়। ঊণিশ'শ দশ শালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সন্মেলনে ক্লারা প্রতি বছর আট'ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসাবে পালনের প্রস্তাব দেন। ঊনিশ'শ চুরাশি শালে জাতিসংঘ আট'ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসাবে ঘোষণা করেন।
একটা সময় ছিল যখন আমাদের সমাজে সতীদাহ,বাল্যবিবাহের মতো জঘন্য কার্যকলাপ ঘটতো।কিন্তু আজ একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও শুনতে পাওয়া যায় যে মহিলারা অবহেলিত এবং সব জায়গায় নিরাপদ নয়,যেটা খুবই দুঃখের। এমন সব ঘটনা আমাদের চারপাশে ঘটে যা সমাজের মুখে কালি লেপে দেয়।যেমন জন্মের পূর্বে লিঙ্গ নির্ধারণ। যদি দেখা যায় ভ্রুনটি কন্যা সন্তানের তখন সেটা নষ্ট করে দেওয়া হয়। আমরা মুখে যতোই নারী-পুরুষ সমান বলিনা কেনো বাস্তবে চিত্রটা অন্যরকম। ঘরে ঘরে মহিলারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এখনো সবাই ভাবে সমাজের মাথা হল পুরুষরা। মহিলাদের প্রাপ্য সন্মান,মর্যাদা দিতেই হবে তবেই সমাজের উন্নতি সম্ভব। আমাদের মনে রাখতে হবে ঝাঁসির রাণী লক্ষীবাই,মাদার টেরিজা,মহাকাশ জয়ী কল্পনা চাওলাদের অবদানের কথা।
আজ বিশ্ব নারী দিবসে আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি মহিলাদের প্রাপ্য সন্মান,মর্যাদা,অধিকার দিয়ে যাতে সমাজ তথা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।আর তাতেই স্বার্থকতা পাবে বিশ্ব নারী দিবস পালনের নতুবা নয়।
মৌসুমী কর,ত্রিপুরা
৮ই মার্চ ২০২০
মৌসুমী কর,ত্রিপুরা
৮ই মার্চ ২০২০