নারী কি স্বাধীন?
প্রশ্নটা তো সকলের মনে উঁকি দেয়।স্বাধীনতা কি এত সহজে আসে?হ্যা,নারী স্বাধীন।সবসময়ই স্বাধীন ছিল।কিন্তু সমাজ কিছু নিয়ম জোর করে চাপিয়ে দিয়েছে নারীর অসীম শক্তিকে পরাস্ত করার জন্য।প্রাচীনকাল থেকেই এ চলে আসছে।মধ্যযুগেও এর কোন পরিবর্তন ঘটেনি।তা বলে নারীকে চুপ করিয়ে রাখা যায়নি।ফরাসী বিপ্লবে বহু মহিলারা অংশগ্রহণ করেও নাগরিক ডেক্লারেশানে নিজেদের স্থান থেকে বঞ্চিত হন।ওলিম্পি দি গউগেস কে প্রাণ দিতে হয়।তিনি নারীর রাজনৈতিক সত্ত্বাকে স্থাপন করতে চেয়েছিলেন।ইউনাইটেড নেশান বর্তমানে মহিলাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক সচেতনাকে প্রবলভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আঠেরোশো শতাব্দী থেকে ফরাসী নারীরা তথা সমগ্র ইউরোপের সচেতন নারীরা নিজেদের রাজনৈতিক অধিকারকে বুঝে নিতে আন্দোলনে নেমে পড়ে।১৯৪৪ এ ফরাসী নারীগণ নিজেদের নাগরিকতার সন্মানে ভূষিত হন।তারা ভোট দেবার অধিকার পান।১৯৪৫ এ ফরাসী নারী প্রথম ভোট দেয়।
এদিকে ভারতের স্বাধীনতার সাথে সাথে ভারতীয় নারীরা রাজনৈতিক অধিকার পেয়ে যান। আমাদের রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে লড়তে হয়েনি।এখন প্রায় সত্তর বছর পর দেখা যাচ্ছে রাজনীতীতে মহিলা্রা কম অংশগ্রহণ করছেন।সংরক্ষন বিল তো সংবিধান করার সময় উত্থাপন করা হয়,কিন্তু পরবর্তীতে তা আর করা হয়নি।যদিও পঞ্চায়েত ও মিউনিসিপালিটিতে শতকরা এক তৃতীয়াংশ মহিলাদের সংরক্ষণ আছে, তবু মনে হয়, লোকসভা ও রাজ্য সভাতে সংরক্ষন প্রয়োজন।মহিলা পার্লামেন্টে যত বেশী যাবে,তত দেশ ও দশের মঙ্গল হবে।
মহিলাদের শিক্ষা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করার সরকারকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছি।নারী তুমি এগিয়ে চল।শুধু নারীদিবসেই এই চিন্তা করলে চলবে না।মানবিকতার সাথে নারীদের সমস্যা সমাধান করা প্রয়োজন।
শমিতা চক্রবর্তী
মাস্কাট,ওমান
৮ই মার্চ ২০২০