পি.আর. প্ল্যাসিড, জাপান:
এবছরের শুরুতে অর্থাৎ জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে জাপানে প্রথম করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) এ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর থেকে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জাপান সরকার এনিয়ে বেশ চিন্তিত হলেও করোনা রোধ করতে কোথাও লকডাউন দেবার কথা ঘোষণা দেন নি।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধির ফলে সম্প্রতি টোকিও সহ সাতটি প্রিফেকচারে প্রথম জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে শিনজো। তারপর ১৬ এপ্রিল দ্বিতীয় ধাপে জাপানের সব গুলো প্রিফেকচারেই জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়। জরুরী অবস্থা ঘোষণা করলেও লকডাউনের কথা কোথাও ঘোষণা করেন নি।
জরুরী অবস্থা ঘোষণার পর টোকিওর কোথাও কোথাও জনগণ বেশ স্বাভাবিক চলাফেরা, কাজ-কর্ম করলেও কোথাও আবার লোকজনের সমাগম সতর্কতার কারণে কমে যায়।
প্রতিদিন টোকিওতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও এপর্যন্ত কোথাও কোন বাংলাদেশীর আক্রান্ত হবার খবর শোনা যায় নি। বাংলাদেশীদের সতর্ক থাকার এবং বিভিন্ন সেবা দানের জন্য ”জাপান-বাংলা ইমার্জেন্সি ভলেন্টিয়ার সার্ভিস নামে একটি ফেইসবুক পেইজ খোলা হয়েছে যার মাধ্যমে সর্বদা বাংলাদেশীদের খবরা খবর নিচ্ছে এর সাথে সংশ্লিষ্টরা। আজ প্রথম একজন বাংলাদেশী ছাত্রের করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) এর পরীক্ষা করে পজিটিভ ধরা পরার কথা জানিয়েছে পেইজটির একজন কর্মকতা।
টোকিওর কিতা ওয়ার্ডে বাংলাদেশীদের বসবাস চোখে পড়ার মত। এখানে বেশীর ভাগই ছাত্র। ছাত্ররা খরচ বাচানোর জন্য এক ঘরে তিন-চারজন বসবাস করে এবং এদের বেশীর ভাগই টোকিওতে রেস্টুরেন্ট এবং কনভিনিয়েন্স স্টোরে অল্প সময়ের জন্য (পার্ট টাইম জব) কাজ করে।
১৭ এপ্রিল ২০২০, শুক্রবার, কিতা ওয়ার্ডস্থ হিগাশি জুজো এলাকায় বসবাসরত একজন ছাত্রর করোনা ভাইরাস (পজিটিভ) সনাক্ত হবার পর জে.বি.ই.ভি.এস এর সার্বিক তত্বাবধান ও সহযোগিতায় ছাত্রটিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। একই ঘরে থাকা অন্য আরো দুজনের মধ্যে একজনের জ্বর থাকায় তাকেও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
টোকিওতে বেশীর ভাগ রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখা হলেও কিছু রেস্টুরেন্ট নির্দেশ অমান্য করে খোলা রয়েছে যেখানে বাংলাদেশী ছাত্রদের একটি অংশ অনেকটা নিরূপায় হয়ে কাজ করছে। যে কারণে তাদের আরও সংক্রমনের সম্ভাবনা রয়েছে।
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
১৭ই এপ্রিল ২০২০
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
১৭ই এপ্রিল ২০২০