সারা পৃথিবী যখন করোনা ভাইরাস নামক মহামারীতে জর্জরিত। সবার মনে ভয় শঙ্কা। যুদ্ধটা যখন জীবন মরণের।বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা করোনা থেকে নিজেকে বাঁচাতে ফিরে এসেছে দেশে। কেউ কেউ দেশে ফিরতে না পেরে মহাআতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। সেখানে মানুষের কাছে তথ্যের অভাব পূরণ করতে এগিয়ে এলেন বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব সোহেল রানা।
বর্তমানে তিনি আমেরিকায় অবস্থান করছে। পড়াশোনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক পলিসিতে। উচ্চতর ডিগ্রী সম্পন্ন করতে তিনি প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে আমেরিকাতে আছেন। পৃথিবীর এই মহা বিপর্যয়ে সেখানে তিনি ঘরবন্দি থেকে যখন দেশ ও মানুষের জন্য কিছুই করতে পারছিলেন না, তখনই মানুষকে সাহায্য করতে বেছে নিলেন ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ।
সারা পৃথিবীর নির্ভরযোগ্য গবেষণা এবং সংবাদ সংস্থা থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে তৈরি করলেন করোনা ভাইরাসকে সহজ করে বোঝার জন্য আর্টিকেল। সেই আর্টিকেলে করোনার উৎপত্তি, করোনার বিস্তার, করোনা প্রতিরোধে মানুষের করণীয় এবং করোনার ভবিষ্যত তুলে ধরেছেন তিনি। অতঃপর তিনি যখন ভাবলেন- তাঁর এই লেখা কিভাবে মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়, তখন তিনি কিছু মানুষের সহায়তা নিয়ে তৈরি করেছেন “ করোনায় করণীয়- সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে একটি ভিডিও চিত্র”। এখন পর্যন্ত মোট দুটি ভিডিওচিত্র " করোনায় করণীয়" এবং " করোনার ভবিষ্যৎ" নিজের ইউটিউব একাউন্টে প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর এই ভিডিও চিত্রগুলোর কোনোটা পাঁচ মিনিট, কোনোটা ৭ মিনিট, কোনোটা বা আট মিনিটের আবার কোনটা একসাথে ২৩ বা ১৬ মিনিটের। প্রতিটি পর্বে তিনি করোনা ভাইরাসের এক একটি দিক তুলে ধরেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন- “কোভিড-১৯ মহামারীতে রোগের সাথে সাথে এক ধরণের গুজবের মহামারীও হয়েছে। সঠিক তথ্য মানুষকে গুজব ভেংগে এই দুর্যোগে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল ও মনগড়া অনেক তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে যা মানুষের ক্ষতি করবে।
মহামারীগুলোর ইতিহাস বলে, সচেতনতা এসব পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে মানুষকে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের মানুষের জন্য তথ্যের প্রয়োজনীয়তা আরো অনেক বেশি। তাই তথ্যের এই ক্রান্তিকালে ভাবলাম করোনায় জনসচেতনতায় কিছু একটা করা যায় কিনা। বাংলায় সঠিক তথ্যের নির্ভরযোগ্য সোর্সের অভাব দেখে ভাবলাম বাংলায় কিছু করা দরকার। সেই ভাবনা থেকেই এই সামান্য উদ্যোগ। যদিও আমি এই ভিজ্যুয়াল সেক্টরের কেউ নই এবং এসব ভিডিও খুবই অপেশাদার প্রক্রিয়ায় তৈরী। তবুও আমরা আমাদের টীমের সাধ্যের মধ্যে চেষ্টা করেছি। এখন যদি আমাদের এই সামান্য উদ্যোগ বাংলাদেশের মিডিয়াতে প্রচার করা হয় এবং এটা দেখে মানুষ সামাজিকভাবে সচেতন হয় তাহলেই দেশের মানুষ উপকৃত হবে।"
জহির রায়হান, বাংলাদেশ
ছবিঃ সৌজন্যে লেখক
৭ই এপ্রিল ২০২০
বর্তমানে তিনি আমেরিকায় অবস্থান করছে। পড়াশোনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক পলিসিতে। উচ্চতর ডিগ্রী সম্পন্ন করতে তিনি প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে আমেরিকাতে আছেন। পৃথিবীর এই মহা বিপর্যয়ে সেখানে তিনি ঘরবন্দি থেকে যখন দেশ ও মানুষের জন্য কিছুই করতে পারছিলেন না, তখনই মানুষকে সাহায্য করতে বেছে নিলেন ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ।
সারা পৃথিবীর নির্ভরযোগ্য গবেষণা এবং সংবাদ সংস্থা থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে তৈরি করলেন করোনা ভাইরাসকে সহজ করে বোঝার জন্য আর্টিকেল। সেই আর্টিকেলে করোনার উৎপত্তি, করোনার বিস্তার, করোনা প্রতিরোধে মানুষের করণীয় এবং করোনার ভবিষ্যত তুলে ধরেছেন তিনি। অতঃপর তিনি যখন ভাবলেন- তাঁর এই লেখা কিভাবে মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়, তখন তিনি কিছু মানুষের সহায়তা নিয়ে তৈরি করেছেন “ করোনায় করণীয়- সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে একটি ভিডিও চিত্র”। এখন পর্যন্ত মোট দুটি ভিডিওচিত্র " করোনায় করণীয়" এবং " করোনার ভবিষ্যৎ" নিজের ইউটিউব একাউন্টে প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর এই ভিডিও চিত্রগুলোর কোনোটা পাঁচ মিনিট, কোনোটা ৭ মিনিট, কোনোটা বা আট মিনিটের আবার কোনটা একসাথে ২৩ বা ১৬ মিনিটের। প্রতিটি পর্বে তিনি করোনা ভাইরাসের এক একটি দিক তুলে ধরেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন- “কোভিড-১৯ মহামারীতে রোগের সাথে সাথে এক ধরণের গুজবের মহামারীও হয়েছে। সঠিক তথ্য মানুষকে গুজব ভেংগে এই দুর্যোগে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল ও মনগড়া অনেক তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে যা মানুষের ক্ষতি করবে।
মহামারীগুলোর ইতিহাস বলে, সচেতনতা এসব পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে মানুষকে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের মানুষের জন্য তথ্যের প্রয়োজনীয়তা আরো অনেক বেশি। তাই তথ্যের এই ক্রান্তিকালে ভাবলাম করোনায় জনসচেতনতায় কিছু একটা করা যায় কিনা। বাংলায় সঠিক তথ্যের নির্ভরযোগ্য সোর্সের অভাব দেখে ভাবলাম বাংলায় কিছু করা দরকার। সেই ভাবনা থেকেই এই সামান্য উদ্যোগ। যদিও আমি এই ভিজ্যুয়াল সেক্টরের কেউ নই এবং এসব ভিডিও খুবই অপেশাদার প্রক্রিয়ায় তৈরী। তবুও আমরা আমাদের টীমের সাধ্যের মধ্যে চেষ্টা করেছি। এখন যদি আমাদের এই সামান্য উদ্যোগ বাংলাদেশের মিডিয়াতে প্রচার করা হয় এবং এটা দেখে মানুষ সামাজিকভাবে সচেতন হয় তাহলেই দেশের মানুষ উপকৃত হবে।"
জহির রায়হান, বাংলাদেশ
ছবিঃ সৌজন্যে লেখক
৭ই এপ্রিল ২০২০