Type Here to Get Search Results !

মাস্ক পথ দেখাচ্ছে রুজিরুটির

তন্ময় বনিক,আগরতলাঃ
দু' মাস আগেও মাস্কের চাহিদা ছিলো না। বেশীরভাগই ব্যবহার করতেন না।জা কিছু বেচাকেনা হতো ঠান্ডার মরসুমে।তখন কিছু লোক ব্যবহার করতেন।আর এখন করোনার কারণে মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক।না পরলে জরিমানা দিতে হবে হবে ১০০ টাকা।তাই মাস্কের চাহিদা এখন ব্যাপক।বাজারে রয়েছে রঙ বেরঙের বিভিন্ন দামের মাস্ক।
রাজধানী আগরতলায় ফুটপাথে আগে যারা গামছা,গেঞ্জি,জুতো মোজা বিক্রি করতেন তারা এখন মাস্ক নিয়ে বসেছেন।চাহিদাও আছে ভালোই।বেচা কেনাও হচ্ছে বেশ।ন্যুনতম ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এক একটি মাস্ক।আরও দামী আছে।বিশেষ করে মহিলাদের অনেকেই এখন পোশাকের সঙ্গে কালার কম্বিনেশন করে মাস্ক কিনছেন।
ফুটপাথে এমন অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা শুধু মাস্কই নিয়ে বসেছেন।কেউ কেউ আবার অন্য ব্যবসা ছেড়ে মাস্ক মিয়ে বসেছেন।শধু ফুটপাথের ব্যবসায়ীরাই নয়,অনেক স্থায়ি দোকানীরাও এখন রঙ বেরঙের মাস্ক ঝুলিয়ে রেখেছেন।রাজধানীর সূর্য চৌমুহনী ও পোস্ট অফিস চৌমুহনীর কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, মাস্কের এখন ভালোই চাহিদা।
করোনার ভয়েই হোক কিংবা সরকার বাধ্যতামূলক করে দেওয়ার কারণেই হোক মাস্ক বিক্রি এখন বেশ ভালোই হচ্ছে।প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে মাস্কের ব্যভার বাধ্যতামূলক করাতে টেইলারিং শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত তারা যেমন রোজগারের একটা নতুন দিশা পেয়েছেন তেমনি যারা বিক্রি করছেন তারাও আয় বাড়াতে সক্ষম হচ্ছেন।পাশাপাশি ব্যবহারকারীরাও শুধু রোগ জীবাণু থেকেই নয় ধোঁয়া,ধূলা,দূষণ অনেক কিছু থেকেই নিজেকে কিছুটা হলেও রক্ষা করতে পারছেন।তাই বলা যায় মাস্ক শধু অর্থনৈতিক ভাবেই দিশা দেখাচ্ছে না।অনেক রোগ ব্যধির প্রকোপ থেকেও মানুষকে রক্ষা করছে।শুধু রাজধানী আগরতলাতেই নয় মহকুমা শহরগুলিতেও মাস্ক এখন দেদার বিকোচ্ছে বলে জানা যায়।বিভিন্ন স্বসহায়ক দলগুলিও এখন মাস্ক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।মানুষ এর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পেরেছেন।


২১শে মে ২০২০   

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.