# খোকা মাকে শুধায় ডেকে —
‘ এলেম আমি কোথা থেকে,
কোন্খানে তুই কুড়িয়ে পেলি আমারে। '
# মা শুনে কয় হেসে কেঁদে
খোকারে তার বুকে বেঁধে —
‘ইচ্ছা হয়ে ছিলি মনের মাঝারে।'
কবিগুরুর নানা কবিতায় আমরা বারবার খুঁজে পাই মা আর সন্তানের বন্ধনের ছোঁয়া। এ যেন এক আত্মিক সম্পর্ক।
বিশ্বকবি যেমন 'বীরপুরুষ' কবিতায় কবির মাকে নিয়ে বিদেশ ভ্রমণের স্বপ্ন আঁকেন , তেমনি ' সত্যি করে বল আমায় করিস নে মা ছল ' কবিতায় মা ছেলের কথোপকথন প্রকাশ করেন।
মা , মম , মাদার , আম্মা যে যে নামেই ডাকো সে তো আমার মা ....... আমার প্রথম ভালোবাসা, যার থেকে ভালোবাসা শেখা সেই তো আমার মা।
বাড়িতে ৫ টুকরো কেক থাকলে আর ৬ জন মানুষ থাকলে যে বলে আমি কেক খাই না সে মা - এমন অনেক লেখা আজকাল আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা প্রায়ই দেখি। আমার জন্য মা সত্যি বলতে পরিবারের লবণ। তরকারির লবণের মতো যার উপস্থিতি পরিবর্তন আনে না তবে অনুপস্থিতি তরকারির স্বাদ নষ্ট করে দেয়।
যে জানে সন্তানের কোন পেট ব্যথা স্কুলে না যাবার অজুহাত আবার নিজেই বুঝে যায় না বলা সব ব্যাথা। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সাথে সাথেই মার জন্ম হয় আর সেদিন থেকেই তার ' মাদার'স ডে '। হঠাৎ করে মেয়েটির মা হবার পর নিজের জন্য কিছু চাওয়ার অভ্যাসটা ভগবান সন্তানকে দুধে-ভাতে রেখো কথাটি তে পরিণত হয়।নিজের অজান্তেই সে মা হয়ে উঠে। ১৮৭০ সালে মাতৃ দিবস উদযাপনের ঘোষণা হলেও মার জন্ম তো সেদিন থেকেই শুরু যেদিন পৃথিবীর জন্ম হয়, মা বসুন্ধরার জন্ম হয়, প্রকৃতি মাতার জন্ম হয়।
মায়ের উষ্ণ ছোঁয়াতো আমরা প্রতি মুহূর্তে পাই, কোথাও প্রকৃতি মা হয়ে, কোথাও জন্মদাত্রী হয়ে, কোথাও শক্তির দেবী দুর্গা হয়ে আবার কোথাও যশোদা রূপিণী।
একটি শিশুর মায়ের কোলই যেমন তার সবচাইতে নিরাপদ স্থান, তেমনি শেষ বয়সে মায়ের সবচাইতে নিরাপদ স্থান যেন সন্তানের কাছে হয়, আর কোনো মার দেখা যেন বৃদ্ধাশ্র…
অবশেষে নজরুলের ভাষায় বলি,
'আয় তবে ভাই বোন,
আয় সবে আয় শোন
গাই গান, পদধূলি শিরে লয়ে মা’র;
মা’র বড় কেহ নাই-
কেউ নাই কেউ নাই!
নত করি বল সবে ‘মা আমার! মা আমার!’
- ঋতুপর্ণা দেবনাথ,ত্রিপুরা
১০ই মে ২০২০
‘ এলেম আমি কোথা থেকে,
কোন্খানে তুই কুড়িয়ে পেলি আমারে। '
# মা শুনে কয় হেসে কেঁদে
খোকারে তার বুকে বেঁধে —
‘ইচ্ছা হয়ে ছিলি মনের মাঝারে।'
কবিগুরুর নানা কবিতায় আমরা বারবার খুঁজে পাই মা আর সন্তানের বন্ধনের ছোঁয়া। এ যেন এক আত্মিক সম্পর্ক।
বিশ্বকবি যেমন 'বীরপুরুষ' কবিতায় কবির মাকে নিয়ে বিদেশ ভ্রমণের স্বপ্ন আঁকেন , তেমনি ' সত্যি করে বল আমায় করিস নে মা ছল ' কবিতায় মা ছেলের কথোপকথন প্রকাশ করেন।
মা , মম , মাদার , আম্মা যে যে নামেই ডাকো সে তো আমার মা ....... আমার প্রথম ভালোবাসা, যার থেকে ভালোবাসা শেখা সেই তো আমার মা।
বাড়িতে ৫ টুকরো কেক থাকলে আর ৬ জন মানুষ থাকলে যে বলে আমি কেক খাই না সে মা - এমন অনেক লেখা আজকাল আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা প্রায়ই দেখি। আমার জন্য মা সত্যি বলতে পরিবারের লবণ। তরকারির লবণের মতো যার উপস্থিতি পরিবর্তন আনে না তবে অনুপস্থিতি তরকারির স্বাদ নষ্ট করে দেয়।
যে জানে সন্তানের কোন পেট ব্যথা স্কুলে না যাবার অজুহাত আবার নিজেই বুঝে যায় না বলা সব ব্যাথা। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সাথে সাথেই মার জন্ম হয় আর সেদিন থেকেই তার ' মাদার'স ডে '। হঠাৎ করে মেয়েটির মা হবার পর নিজের জন্য কিছু চাওয়ার অভ্যাসটা ভগবান সন্তানকে দুধে-ভাতে রেখো কথাটি তে পরিণত হয়।নিজের অজান্তেই সে মা হয়ে উঠে। ১৮৭০ সালে মাতৃ দিবস উদযাপনের ঘোষণা হলেও মার জন্ম তো সেদিন থেকেই শুরু যেদিন পৃথিবীর জন্ম হয়, মা বসুন্ধরার জন্ম হয়, প্রকৃতি মাতার জন্ম হয়।
মায়ের উষ্ণ ছোঁয়াতো আমরা প্রতি মুহূর্তে পাই, কোথাও প্রকৃতি মা হয়ে, কোথাও জন্মদাত্রী হয়ে, কোথাও শক্তির দেবী দুর্গা হয়ে আবার কোথাও যশোদা রূপিণী।
একটি শিশুর মায়ের কোলই যেমন তার সবচাইতে নিরাপদ স্থান, তেমনি শেষ বয়সে মায়ের সবচাইতে নিরাপদ স্থান যেন সন্তানের কাছে হয়, আর কোনো মার দেখা যেন বৃদ্ধাশ্র…
অবশেষে নজরুলের ভাষায় বলি,
'আয় তবে ভাই বোন,
আয় সবে আয় শোন
গাই গান, পদধূলি শিরে লয়ে মা’র;
মা’র বড় কেহ নাই-
কেউ নাই কেউ নাই!
নত করি বল সবে ‘মা আমার! মা আমার!’
- ঋতুপর্ণা দেবনাথ,ত্রিপুরা
১০ই মে ২০২০