Type Here to Get Search Results !

অযোধ্যা ও রাম নিয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দাবির কঠোর প্রতিবাদ হিন্দু ধর্ম সুরক্ষা পরিষদেরঃ বাংলাদেশ

আবু আলী, ঢাকা ॥ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম অবতার রাম নেপালের রাজপুত্র ছিলেন এবং অযোধ্যর অবস্থান নেপালেই ছিল নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির বক্তব্যের কঠোর প্রতিবাদ ও সমালোচনা এবং নিন্দার ঝড় বইছে বাংলাদেশে। গতকাল শনিবার নেপালের প্রধানমন্ত্রীর ওই বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে হিন্দু ধর্ম সুরক্ষা পরিষদ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে। মানবন্ধনে বক্তারা বলেছেন, তার এমন দাবির পেছনে ষড়যন্ত্র আছে। কেপি শর্মা ওলি তার নিজ ইচ্ছায় একথা বলেননি। কারণ তিনিও একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক। ফলে এর পেছনে বৃহৎ ও অদৃশ্য কোন কুশক্তির ইন্ধন আছে। এর পেছনে বড় এবং অদৃশ্য কোন কুশক্তির ইন্দন আছে। তার এমন বক্তব্য ধর্মে বিশ্বাসী মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগকে ব্যাপকভাবে আহত করেছে। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এই ধরণের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিতর্কিত বক্তব্য তিনি দিতে পারেন না। মানববন্ধনে সংগঠনের আহ্বায়ক স্বামী সঙ্গীতানন্দ মহারাজের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী শ্রী মনোরঞ্জন ঘোষাল, আন্তর্জাতিক আন্তঃধর্মীয় সংগঠন ইউআরআইয়ের বাংলাদেশ সমন্বয়ক ড. মোহাম্মাদ আব্দুল হাই, বাংলাদেশ হিন্দু সমাজ সংস্কারক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, বাংলাদেশ মাইনরটি জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি অধ্যক্ষ নিরদ বরণ মজুমদার, যুগ্ম সম্পাদক ভবতোষ মুখার্জী সুবীর, দিলীপ দাস, শম্ভুনাথ দাস, পার্থ প্রতিম দাস প্রমুখ। মানববন্ধনে বলা হয়, নেপাল একটি হিন্দু অধ্যষিত দেশ, তাদের সংস্কৃতি, আচার সবই হিন্দু রীতি অনুযায়ী চলে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করেই নেপালের প্রধানমন্ত্রীর এমন কী ঘটনা ঘটল যে তিনি ভারত বিরোধী এবং সর্বোপরি সরাসরি শ্রী শ্রী রাম চন্দ্র এবং তার জন্মস্থান অযোধ্যা নিয়ে বিতর্ক শুরু করলেন। বক্তারা আরও বলেন, আমরা মনে করি নেপালের প্রধানমন্ত্রী তার নিজের ইচ্ছায় এ কথা বলেননি। কারণ তিনিও একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। এর পেছনে বড় এবং অদৃশ্য কোন কুশক্তির ইন্দন আছে। তার এমন বক্তব্য ধর্মে বিশ্বাসী মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগকে ব্যাপকভাবে আহত করেছে। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এই ধরণের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিতর্কিত বক্তব্য তিনি দিতে পারেন না। এজন্য তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান বক্তারা। মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৩ জুলাই ভানু জয়ন্তী উপলক্ষ্যে নেপালের প্রধামন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি নিজের বাসভবনে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে। সেখানে বক্তব্যে তিনি বলেন, ভারত যে অযোধ্যাকে রামের জন্মভূমি হিসেবে উল্লেখ করে, সেই তথ্য সঠিক নয়। তিনি দাবি করেন, নেপালের বীরগঞ্জে থোরিতে আসল অযোদ্যা অবস্থিত। তিনি আরও বলেন, ভারত তার একটি জায়গাকে অযোধ্যা বলে উল্লেখ করেন। অর্থাৎ ওলির মতে অযোধ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছেই। আসলে অযোধ্যা বলে যেটিকে উল্লেখ করা হয়, সেটি আসল অযোধ্যা নয়। ওলি ওইদিন স্পষ্টভাবে বলেন, বীরগঞ্জের পশ্চিমে থোরিতে অবস্থিত অযোধ্যা। নেপালেই অবস্থিত বাল্মিকী আশ্রম আর নেপালেই রিদিতে দশরথ পুত্র সন্তান লাভের জন্য যজ্ঞ করেছিলেন। দশরথের ছেলে রাম ভারতীয় ছিলেন না আর অযোধ্যাও নেপালে অবস্থিত।

১৮ই জুলাই ২০২০

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.