Type Here to Get Search Results !

মালয়েশিয়া থেকে কোন কর্মী ফেরত যায়নি:মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী

আবু আলী, ঢাকা ।। মালয়েশিয়ার নবনিযুক্ত মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ শহীদুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল দাতুক মোহা খাইর আজমান বিন মোহামেদ আনুয়ার, আন্ডার সেক্রেটারি (পলিসি) ড. নুর মাজনি বিনতি আবদুল মজিদ, আন্ডার সেক্রেটারি ড. জাকি বিন জাকারিয়া, প্রিন্সিপ্যাল অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি শাবুদ্দিন বিন বকর এবং বাংলাদেশে হাইকমিশনের লেবার কাউন্সেলর মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, লেবার কাউন্সেলর মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল এবং ২য় শ্রম সচিব জনাব ফরিদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী ও বাংলাদেশের হাইকমিশনার বাংলাদেশি কর্মী এবং দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় কর্মরত শ্রমিকদের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়।
আলোচনাকালে হাইকমিশনার করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের সফলতার জন্য মালয়েশিয়া সরকারের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে করোনার কারণে বিপদগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের নিকট খাবার সহায়তা পৌঁছে দেওয়া, চাকরি ও বেতন নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় কোয়ারেন্টিন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য হাইকমিশনার মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
তিনি করোনা পরিস্থিতির শিকার হয়ে বাংলাদেশি কর্মীকে যাতে নিজ দেশে ফিরে যেতে না হয় এ জন্য নিয়োগকর্তা পরিবর্তনের সুযোগ প্রদান করায় মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘ডিটেনশন সেন্টারে থাকা বিদেশিদের বৈধতা দিয়ে কর্মস্থলে নিয়োগ এবং অবৈধদের বৈধতা প্রদানের জন্য মালয়েশিয়া সরকার কাজ করছে।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক অনেক পরিশ্রমী, দক্ষ এবং আন্তরিক। তারা মালয়েশিয়ার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে এবং এ সব কর্মীদের সুরক্ষা প্রদান করা হবে। এ ছাড়া নিয়োগকর্তারা যাতে বিদেশি কর্মীদের সুরক্ষিত কর্মপরিবেশ, যথাযথ আবাসন এবং নিয়মিত বেতন নিশ্চিত করে সে সকল বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদান করেছে।’ তিনি বলেন, ‘বিদেশি কর্মীদের সার্ভিস বেনিফিট প্রদান করা হবে এবং সেভিংসের ব্যবস্থা করা হবে যাতে একেবারে শুণ্য হাতে নিজ দেশে ফিরে না যায়।’
বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, ‘মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে ছুটিতে যাওয়া বাংলাদেশি কর্মীরা কাজে যোগ দিতে চায় এবং অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে কেননা ছুটিতে থাকায় পারমিট রিনিউ করতে পারেনি।’ এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যাদের ভিসার মেয়াদ আছে তারা নিয়ম মেনে মালয়েশিয়া আসতে পারবেন এবং যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে তারা যাতে আবার মালয়েশিয়ায় আসতে পারে সে বিষয়ে সরকার শিগগিরই ঘোষণা দেবে।’


১০ই জুলাই ২০২০

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.