আরও একটি স্বাধীনতা চাই....
'স্বাধীনতা' শব্দটি উচ্চারণে গোটা দেশ নড়েচড়ে বসে,
তারই ছায়ায় বিবস্ত্র ছেলেটি
ভিক্ষার থালা নিয়ে বসে থাকে অতিষ্ঠ পেটের ক্ষুধায়।
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ির কাচ খুলে
পাশ দিয়ে যাওয়া বাবুগুলো
অবজ্ঞায় ছুড়ে দেন দুটো পয়সা ওই ভাতের থালায়।
ধনী-দরিদ্র্যের এই বৈষম্যমূলক স্বাধীনতা দেখে
ছুটে যাই সংবিধানের কাছে,
আমাদের সুদীর্ঘ বাজেটের বাতিঘর,
আজও আলোকিত হয়নি বলে নিরুত্তর আম্বেদকর।
আমি স্বাধীনতাকে বুকের ডান পার্শ্বে সেঁটে
জাতির পিতার কাছে গেলাম,
দেখলাম মহাত্মা ব্যারিস্টারের বিবশতা।
গতকাল রাতে যে মেয়েটি ধর্ষিতা হলো
তার পরিহিত বস্ত্রের প্রতিটি টুকরো আর
ক্ষতবিক্ষত শরীরের প্রতিটি জীবন্ত ঘা এ
স্বাধীনতার প্রকৃত চেহারা বিদ্রুপের হাসি হাসছে।
লজ্জায় গান্ধীজী চোখ তুলে তাকাতে পারছেন না।
অসহায় পঁচিশ বছরের ডিগ্রিধারী ছেলেটা
দিনরাত হন্যে হয়ে ঘুরে শেষে সেও
চৌরাস্তার মোড়ে নেতাজির পদতলে সামিল।
যিনি উদ্যম নিয়ে 'দিল্লি চলো' ডাক দিয়েছিলেন
তিনিও আজ নির্বাক নিরুত্তর।
স্বাধীনতা এখন বন্দি মুষ্টিমেয়র পকেটে,
অশোক চক্র সম্বলিত ত্রি-বর্ণ রঞ্জিত পতাকাটা
উড়তে পারছে না মুক্ত আকাশে।
জাত-পাত, ধর্ম-বর্ণের বেড়ি পায়ে
উলঙ্গ স্বাধীনতার অকাল মৃত্যুতে
হতচকিত ভগৎ সিং রাজগুরু ক্ষুদিরামের অতৃপ্ত আত্মা।
'বন্দেমাতরম' ক্রমশ বিভীষিকাময় 'বন্দিমাতরম',
আরব সাগরের ঢেউ উঠেছে আসমুদ্রহিমাচলের গায়ে।
টুকরো টুকরো খন্ডে বিভক্ত বিপন্ন স্বাধীনতা
অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের দাবি ছেড়ে
বাঁচার নিশ্চয়তা চেয়ে পথের মোড়ে স্লোগান তুলছে-
আমাদের আরও একটা স্বাধীনতা চাই,
মুক্ত বিহঙ্গের মতো আকাশে উড়বার স্বাধীনতা,
তিন ফুট বাই এক ফুট পতাকার পত্পত্ স্বাধীনতা।
- টিংকু রঞ্জন দাস, ত্রিপুরা
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
১৫ই আগস্ট ২০২০
'স্বাধীনতা' শব্দটি উচ্চারণে গোটা দেশ নড়েচড়ে বসে,
তারই ছায়ায় বিবস্ত্র ছেলেটি
ভিক্ষার থালা নিয়ে বসে থাকে অতিষ্ঠ পেটের ক্ষুধায়।
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ির কাচ খুলে
পাশ দিয়ে যাওয়া বাবুগুলো
অবজ্ঞায় ছুড়ে দেন দুটো পয়সা ওই ভাতের থালায়।
ধনী-দরিদ্র্যের এই বৈষম্যমূলক স্বাধীনতা দেখে
ছুটে যাই সংবিধানের কাছে,
আমাদের সুদীর্ঘ বাজেটের বাতিঘর,
আজও আলোকিত হয়নি বলে নিরুত্তর আম্বেদকর।
আমি স্বাধীনতাকে বুকের ডান পার্শ্বে সেঁটে
জাতির পিতার কাছে গেলাম,
দেখলাম মহাত্মা ব্যারিস্টারের বিবশতা।
গতকাল রাতে যে মেয়েটি ধর্ষিতা হলো
তার পরিহিত বস্ত্রের প্রতিটি টুকরো আর
ক্ষতবিক্ষত শরীরের প্রতিটি জীবন্ত ঘা এ
স্বাধীনতার প্রকৃত চেহারা বিদ্রুপের হাসি হাসছে।
লজ্জায় গান্ধীজী চোখ তুলে তাকাতে পারছেন না।
অসহায় পঁচিশ বছরের ডিগ্রিধারী ছেলেটা
দিনরাত হন্যে হয়ে ঘুরে শেষে সেও
চৌরাস্তার মোড়ে নেতাজির পদতলে সামিল।
যিনি উদ্যম নিয়ে 'দিল্লি চলো' ডাক দিয়েছিলেন
তিনিও আজ নির্বাক নিরুত্তর।
স্বাধীনতা এখন বন্দি মুষ্টিমেয়র পকেটে,
অশোক চক্র সম্বলিত ত্রি-বর্ণ রঞ্জিত পতাকাটা
উড়তে পারছে না মুক্ত আকাশে।
জাত-পাত, ধর্ম-বর্ণের বেড়ি পায়ে
উলঙ্গ স্বাধীনতার অকাল মৃত্যুতে
হতচকিত ভগৎ সিং রাজগুরু ক্ষুদিরামের অতৃপ্ত আত্মা।
'বন্দেমাতরম' ক্রমশ বিভীষিকাময় 'বন্দিমাতরম',
আরব সাগরের ঢেউ উঠেছে আসমুদ্রহিমাচলের গায়ে।
টুকরো টুকরো খন্ডে বিভক্ত বিপন্ন স্বাধীনতা
অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের দাবি ছেড়ে
বাঁচার নিশ্চয়তা চেয়ে পথের মোড়ে স্লোগান তুলছে-
আমাদের আরও একটা স্বাধীনতা চাই,
মুক্ত বিহঙ্গের মতো আকাশে উড়বার স্বাধীনতা,
তিন ফুট বাই এক ফুট পতাকার পত্পত্ স্বাধীনতা।
- টিংকু রঞ্জন দাস, ত্রিপুরা
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
১৫ই আগস্ট ২০২০