Type Here to Get Search Results !

"সমাজের সমস্যা সমাধানে চাই পর্যাপ্ত শিক্ষার প্রসার ও জন সচেতনতাবোধ জাগ্রত করা" ঃ দেবাশীষ মজুমদার,উত্তর চব্বিশ পরগণা

সমাজ তৈরী হয় এক বা একাধিক জনগোষ্ঠীকে নিয়ে।যে সমাজে অবস্থান করা মানুষজনের নিজস্ব পোশাক,নিজস্ব রুচি ও নিজস্ব যোগ্যতার ছাপ ফুটে উঠে তার কর্ম গুণের দ্বারা।তবে সময়ের সাথে সাথে সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও সম্মানহানির মত বিষয় প্রবাহমান।তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মদ্যপান,নারী নির্যাতন,আর্থিক কেলেঙ্কারি।তবে এই সব বিষয়ে একটু বিশদে আলোচনা করা দরকার।


মদ্যপানঃসমাজের সুস্থ স্বাভাবিক চিন্তাকে বিপথে চালিত কর্ম করবার প্রধান বিষয় মদ্যপান।সমাজের ছাত্র-যুবরা মদ্যপান সেবন করে বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে দেখা যায়।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জীবনে হতাশার বর্শবতী হয়ে মদ্যপান করে।যার ফলে সমাজ অসুস্থ হতে দেখা যায়।

নারী নির্যাতনঃপ্রতিটি দিনই কোন কোন জায়গাতে নারী নির্যাতনের খবর চোখে পড়ে।বৈবাহিক জীবনে মনোমালিন্য কারনে বিভিন্ন সময়ে বধূ নির্যাতন ঘটে।সেই সাথে শিক্ষার অভাবে নারীদের ওপর শারীরিক,মানসিক অত্যাচার হয়।প্রয়োজনে রাজনৈতিক এবং উচ্চপদস্থ অফিসার মানুষের নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেন।

আর্থিক কেলেঙ্কারিঃসমাজে যেটা সব থেকে বিপজ্জনক বিষয় সেটা হল আর্থিক কেলেঙ্কারি।এক্ষেএে বিভিন্ন ক্লাব,সংস্থা,সংগঠনের বিভিন্ন পদে আসীন থেকে সাধারণ মানুষের থেকে নেওয়া অর্থ নিয়ে দূর্নীতি করেন।এমনকী তারা নিজেদের অল্প শিক্ষিত মানুষদের জীবন ও জীবিকা ওপর চাপ সৃষ্টি করে নিজেদের সম্পদ ও প্রভাবশালী গড়ে তোলেন।সেই বিভিন্ন সরকারী উচ্চ পদস্থ অফিসার মানুষেরা সরকারী বিভিন্ন প্রকল্প থেকে আর্থিক তছরুপ করেন।তবে সেই বিষয় প্রকাশ্যে খুবই কম আসে।

এই সমস্ত সমাজের সমস্যা সমাধানের জন্য চাই সততা ও আন্তরিকতা শুধুমাত্র নয়।চাই পর্যাপ্ত শিক্ষার প্রসার ও জন সচেতনতাবোধ জাগ্রত করা।শিক্ষিত সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে।সমাজের বাকীদের সচেতন করবার মানসিকতার উদ্যোগ গ্রহণ তাদেরকেই করতে হবে।সমাজের উন্নতির মাধ্যমেই রাষ্ট্রের প্রকৃত উন্নতির জাগরন ঘটবে।


দেবাশীষ মজুমদার,উত্তর চব্বিশ পরগণা

১১ই অক্টোবর ২০২০