বাংলাদেশের খাগড়াছড়ির রামগড়ে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু। সেতু নির্মাণ শেষে চালু হবে স্থলবন্দরের কার্যক্রম। আগামী ২৬ ডিসেম্বর প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এ বন্দর আঞ্চলিক বাণিজ্যের নতুন দুয়ার খুলে দেবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। ৪১২ মিটার দীর্ঘ এবং প্রায় ১৫ মিটার প্রস্থের এ সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ। ফেনী সেতু চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি ট্রাকে করে কনটেইনার সাব্রুমে চলে যাবে। এর পর সাব্রুম স্টেশন থেকে পণ্যবাহী ট্রেনে করে উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্য প্রান্তে পণ্য পরিবহন সম্ভব হবে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী লিখিতভাবে জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর ওপর ভারত সরকারের অর্থায়নে ও তত্ত্বাবধানে নির্মাণাধীন সেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে। করোনার কারণে প্রকল্পের কাজে কিছুটা তি হয়েছিল। সওজ জানিয়েছে, সেতুটি নির্মাণ হলে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যসামগ্রী সরাসরি সড়কপথে ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্য রাজ্যে পৌঁছে যাবে। গতি আসবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে। ২০১৫ সালের ৬ জুন বাংলাদেশের রামগড় এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাব্রুম সীমান্তে ফেনী নদীর ওপর নির্মাণাধীন মৈত্রী সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেতুটির নির্মাণকাজের মেয়াদ ধরা হয়েছে ৯১২ দিন। ভারতের অংশে নির্মাণকাজ করছে ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন। প্রকল্পের কাজে চুক্তি হয়েছে ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ আর ২৭ অক্টোবর থেকে নির্মাণকাজ শুরু হয়। মেসার্স দিনেশচন্দ্র আর আগারওয়াল ইনফ্রাকন প্রাইভেট লিমিটেড হচ্ছে প্রকল্পের ঠিকাদার। দুই পাড়ের মানুষের পরিবেশ-সংস্কৃতি সব মিলে এখানে একটা সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে। এই স্থলবন্দর হলে এবং সেতু চালু হলে আশা করি দুই পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে। একদিকে কর্মসংস্থান হবে একটি বিশাল অংশের। পাশাপাশি অনেকে এ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে তাদের নিজেদের এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে ভূমিকা রাখতে পারবে। এ স্থলবন্দর চালু হলে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ
৯ই ডিসেম্বর ২০২০