ভ্যালেন্টাইন বা ভালবাসার দিবস এটি শুধুমাত্র একটি প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যেকার ভালবাসা বিতরণ না হয়ে এ এক অন্যরকম চিরন্তন ভালবাসার ইতিহাস হলে কেমন হতো!!
যে ভালবাসার উচ্চতা অসীম, যার গভীরতা অতল হ্যাঁ সত্যি এ হচ্ছে ঈশ্বরের পুত্র খ্রিষ্ট যীশুর অনন্ত প্রেম। ঈশ্বর পৃথিবীকে এত ভালবাসলেন যে নিজের একমাত্র পুত্রকে পাঠালেন সমগ্র মানবজাতির হয়ে ক্রশে এক মহান বলিদান স্বরূপ। জগতের ভালবাসায় কখনো একজন অন্যজনের জন্য নিজের প্রান দিয়েছে এরকম দৃষ্টান্ত বিরল।কিন্তু যীশুর ভালবাসার প্রমাণ সেই ক্রশে খ্রিষ্টের ক্ষতবিক্ষত দেহ।সেই দুর্লভ প্রেমের ব্যখ্যা দিতে গিয়ে সেইন্ট অগাস্টিন বলেছেন ঈশ্বর আমাদের প্রত্যেককে এমন ভালবাসলেন যেন পৃথিবীতে কেবলমাত্র আমি / আপনি শুধুমাত্র একাই ছিলাম। যদিও সেইসময় তাঁর অপরিসীম প্রেমকে জগৎ
উপলব্ধি করতে পারেনি তথাপি সেই প্রেমী নিজের ভালবাসার উপহারস্বরূপ নিজেকে বলিরূপে ক্রুশবিদ্ধ করে মানবজাতির পাপভার নিজে বহন করে। ভালবাসার প্রতীক হৃদয়ের স্পন্দন বন্ধ হয়ে গেলেও ক্রুশবিদ্ধ সেই প্রেমীর ভালবাসা থামে না।
তাই তো তাঁর 'লাভ-লেটার' বাইবেলে তিনি ভালবাসাকে যথাযথভাবে উপমা দিতে গিয়ে বলেছেন,
" ভালবাসা ধৈর্য্য ধরে, ভালবাসা দয়া করে, ভালবাসা ঈর্ষা করে না, অহংকার বা গর্ব করে না। ভালবাসা কোন অভদ্র আচরণ করে না। ভালবাসা স্বার্থ সিদ্ধির চেষ্টা করেনা, কখনো রেগে উঠেনা, অপরের অন্যায় আচরণ মনে রাখেনা। ভালবাসা কোন মন্দ বিষয় নিয়ে আনন্দ করে না, কিন্তু সত্যে আনন্দ করে। ভালবাসা সবকিছুই সহ্য করে, সব কিছু বিশ্বাস করে, কিছুতেই প্রত্যাশা রাখে, সবই ধৈর্য্যের সঙ্গে গ্রহণ করে। ভালবাসার কোন শেষ নেই।"
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
সুস্মিতা দত্ত, আগরতলা
১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০২১