বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যসচিবের বৈঠকঃ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে দু’দেশের বাণিজ্যে নতুন দ্বার খুলে যাবার প্রত্যাশাঃ বাংলাদেশ
আরশি কথামার্চ ০৮, ২০২১
0
আবু আলী, ঢাকা, আরশিকথা।।
বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে দু’দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন দ্বার খুলে যাবার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রেলপথ চালুর ফলে উভয় দেশের বাণিজ্য সহজ হয়েছে। বাণিজ্য ক্ষেত্রে চলমান সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে উভয় দেশের বাণিজ্য বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আমরা চাই বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে উভয় দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে এমন কিছু করতে, যা উভয় দেশের মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাববে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চলমান বর্ডারহাটগুলো উভয় দেশের মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এ বর্ডার হাটের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগে নেয়া হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে আরও কয়েকটি বর্ডার হাট উদ্বোধন করা হবে। যে সকল পণ্যের উপর এ্যান্টি ডাম্পিং আরোপ করা আছে, আলোচনার মাধমে সেগুলোর বিষয়ে যৌক্তিক সমাধান করা হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের ফুড প্রসেসিং এবং মটর ভেইকেল নির্মাণ শিল্পে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী (০৭ মার্চ) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে সফররত ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য বিভাগের সচিব অহঁঢ়ডধফযধধিহ এর সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিং এর সময় এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সাথে পিটিএ এবং এফটিএ স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতের সাথেও বাংলাদেশ কমপ্রিহেনসিপ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টির জন্য কাজ করছে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাণিজ্য ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। ফলে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, আসন্ন পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ের পাশাপাশি বাণিজ্যমন্ত্রণারয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ(টিসিবি) এর মাধ্যমে প্রয়োজনের দ্বিগুন পণ্য সরবরাহ করা হবে। ফলে পবিত্র রমজান মাসে কোন পণ্যের ঘাটতি হবে না এবং মূল্য বৃদ্ধি হবে না।
ভারতের বাণিজ্য সচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্মামী (ঠরশৎধস উড়ৎধরংধিসর), ভারতীয় হাই কমিশনের কমর্শিয়াল রিপ্রেজেনটেটিভ চৎধসুড়ংয ইধংধষষ, এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. মহিদুল ইসলাম, ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক(অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান সৌজন্য স্বাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন।