Type Here to Get Search Results !

করোনাকালীন সময়ে নরেন্দ্র মোদির সফরে বাংলাদেশের প্রত্যাশা

প্রভাষ চৌধুরী, ঢাকা ব্যুরো এডিটর,আরশিকথাঃ

চলতি মাসের ২৬ তারিখে বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনাকালীন প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ভারতের সরকার প্রধানের সফর ঘিরে এবারও বেশ কিছু প্রত্যাশা রয়েছে বাংলাদেশের। মোদির কাছে বাংলাদেশের এবারের প্রত্যাশা নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, মুজিববর্ষের চলমান কর্মসূচির অংশ হিসাবে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ বেশ কিছু অনুষ্ঠান সাজানো হচ্ছে। সেটা সামনে রেখে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর একটি সফর হওয়ার কথা রয়েছে৷ সব সফরকে ঘিরে আমাদের প্রত্যাশা থাকে, অন্ততপক্ষে জটিল বিষয়গুলোকে আলোচনা করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপার থাকে, এগুলো নিয়ে আলাপ করার জন্য ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন। মোদির সফর ঘিরে যোগাযোগ বা কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়টি জোর পেয়েছে মন্তব্য করে শাহরিয়ার আলম বলেন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে৷ নতুন একটি ট্রেন সার্ভিস চালু হওয়ার কথা রয়েছে৷ সেটি আশা করি, আমরা চালু করতে পারব খুব শিগগিরই৷ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত ঘোষণা দেবে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ কেবল একটি স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা নয়, এটি অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থাও তৈরি করেছে। বিশেষ করে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো একটি বড় অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷ এটার একটি বড় প্রভাব কিন্তু আমাদের মত সরবরাহকারী দেশগুলির ওপর পড়তে পারে। তিনি বলেন, ভারত থেকে প্রচুর কাঁচামাল আসে, সেক্ষেত্রে এই কাঁচামাল এবং আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বাধাগুলি কীভাবে দূর করা যায়, সেগুলো আলোচনা হবে৷ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের আলোচনায় অগ্রগতি হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নদী বা পানি বিষয়ক যে বৈঠকগুলি হচ্ছিল না, সেগুলির ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে৷ তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে যে কোনো কিছু চূড়ান্ত হবে, আমরা জোরালোভাবে তা প্রত্যাশা করি না। তিস্তা চুক্তির বিষয়টি বাংলাদেশের অগ্রাধিকারে থাকবে কিনা, এমন প্রশ্নের তিনি বলেন, এটা আমাদের সব সময়ের প্রায়োরিটি।‘কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ’চুক্তির বিষয়টি দু'দেশের আলোচনার টেবিলে রয়েছে৷ এ বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি যৌথ সমীক্ষা করার জন্য এর আগে দুই প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ৷ ভারত সম্প্রতি বাংলাদেশের যানবাহনকে সরাসরি ভুটান ও নেপালে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়াকে একটি বড় পাওয়া বলে মন্তব্য করেন শাহরিয়ার আলম। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ভারতের ডাউকি ও বাংলাদেশের তামাবিল অংশে একটি ‘পেট্রাপোল’ নির্মাণ 'প্রায় হয়েই’ গেছে। তাছাড়াও বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য ভারতের চেন্নাইতে বাংলাদেশের একটি সহকারী হাই কমিশন খোলার চুড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাওয়ার কথা।


আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ

৫ই মার্চ ২০২১
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.