রাজ্যের বিচারব্যবস্থার উন্নয়নে পরিকাঠামোগত বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এজন্য সরকার রাজ্যের সব জেলাতেই আইনি পরিষেবার পরিকাঠামো গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে। শনিবার ত্রিপুরা হাইকোর্টের অডিটোরিয়ামে ত্রিপুরা হাইকোর্ট এবং ত্রিপুরা জুডিশিয়াল একাডেমির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী সপ্তম বার্ষিক জুডিশিয়াল কনক্লেভের উদ্বোধনী সমারোহে একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ত্রিপুরায় আইনী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। আইনী বিশ্ববিদ্যালয় ত্রিপুরায় এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। এবং নতুন পরিচিতি এনে দেবে। জাতীয় স্তরের ফ্যাকাল্টি তৈরীর মাধ্যমে ত্রিপুরা আইনে বিশ্ববিদ্যালয় আগামী দিনে উচ্চশিখরে পৌঁছাবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হওয়ার জন্য এখন প্রস্তুত। বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরার সীমান্তে ফেনী নদীর উপর নির্মিত মৈত্রী সেতু উদ্বোধন এর ফলে ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর অর্থনীতিতে এর প্রভাব পরবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড ১৯ অতিমারি পরিস্থিতি আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার মানসিকতা গড়ে উঠেছে। যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে জব ক্রিয়েটর তৈরি হচ্ছে। আত্মনির্ভর মানসিকতাই একটি রাজ্যকে স্বনির্ভর রাজ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।
অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউল প্রশাসনিক এবং বিচার ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা হাইকোর্টের ২০২০-২০২১ সালের বার্ষিক রিপোর্ট এর উপর একটি বইয়ের প্রকাশ হয়।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
২০শে মার্চ ২০২১