রাজ্য সরকার কি করোনা কারফিউ তুলে দিয়েছে? সোমবার আগরতলা শহরের চিত্র দেখলে মনে এমন প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক। সকাল থেকে এদিন রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে শত শত ই রিক্সা, অটো, রিকসাসহ অন্যান্য যানবাহন।বটতলা, চন্দ্রপুর, মোটর স্ট্যান্ড, আরএমএস চৌমুহনী, ফায়ার সার্ভিস চৌমুহনী এককথায় প্রতিটি স্ট্যান্ডে অটোরিকশা ও রিকশার ভিড় দেখা গেছে। সাধারণ মানুষও অন্যান্য দিনের মতোই নিশ্চিন্তে,নির্বিঘ্নে নিজের গন্তব্যস্থলে বেরিয়ে পড়েন। সোমবার রাস্তাঘাট, যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল ছিল করোনা কারফিউ জারি করার আগে সাধারণ দিনের মতোই। বাজারগুলিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। রাজ্য সরকার আগরতলা পুর নিগম এলাকায় ২৬মে পর্যন্ত করোনা কারফিউ জারি করেছিল। কিন্তু মানুষের যেন তর সইছিল না তাই হয়তো সোমবারই অর্থাৎ দুদিন আগেই তারা রাস্তায় নেমে পড়েন। যদিও এক্ষেত্রে কর্মহীন হয়ে বাড়িতে বসে থাকার দরুণ আর্থিক সংকট একটি বড় কারণ। শুধু পরিবহনের ক্ষেত্রে নয় এ দিন করোনা কারফিউর আওতার মধ্যে থাকা দোকানপাট খোলা থাকতে দেখা যায়।কেউ দরজার শাটার অর্ধেক খুলেছেন, কেউ আবার পুরোপুরি খুলে রেখেছেন। বই-খাতার দোকান, টেইলার, পার্লার, সেলুন, বৈদ্যুতিক এবং বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকান সেনিটারী সামগ্রী ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিসের দোকান খুলতে দেখা যায়। বিভিন্ন অলি-গলিতে তো বটেই শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রাস্তার পাশে এই সমস্ত দোকানগুলো খুলতে দেখা যায়। ক্রেতারাও ছিলেন দোকানগুলিতে। এদিকে পুলিশ প্রশাসন কয়েকটি জায়গায় যানবাহন চেকিং করে। আইজিএম চৌমুহনী, উত্তর গেটসহ কিছু কিছু জায়গায় এদিন নাকা পয়েন্ট করে বসে পুলিশ। যাদের কারফিউতে বৈধ পাশ নেই কিংবা যাদের যানবাহনের প্রয়োজনীয় নথিপত্র নেই বা যারা বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় বের হয়েছেন তাদের জরিমানা করা হয়। ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অবশ্য কোনো রকম অভিযান নজরে পড়েনি। সব মিলিয়ে বলা যায় প্রশাসন যেন অনেকটাই ছাড় দিয়ে রেখেছে।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
২৪শে মে ২০২১