এডিসি এলাকায় চলছে আইপিএফটি ডাকা ২৪ ঘন্টার বনধ। শনিবার সকাল ছয়টা থেকে বন্ধ শুরু হয়। বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করেন আইপিএফটি নেতা-কর্মীরা। বনধ ঘিরে এডিসি এলাকায় মিশ্র প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। তবে কোথাও কোন হিংসাত্মক ঘটনার খবর নেই। খুমুলুঙ বাজার, গাবর্দি বাজার, করবুক, শান্তিরবাজার, তেলিয়ামুড়া, আমবাসা, গন্ডাছড়া, কিল্লা, মহারানী, মান্দাই বাজারসহ এডিসি'র বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকেই নেমে পড়েন পিকেটাররা। দলীয় পতাকা নিয়ে কোথাও পথ অবরোধ, কোথাওবা বিক্ষোভে সামিল হন তারা। সাংগঠনিক নেতৃত্বদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরাও বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামেন। তবে এদিন পুলিশকে খুব একটা কড়াকড়ি করতে দেখা যায়নি। এমনিতেই এখন করোনা মহামারীজনিত পরিস্থিতির কারণে সন্ধ্যা ছটা থেকে শুরু হয় নৈশকালীন কারফিউ। তাই পিকেটারদের বিরুদ্ধে খুব একটা কড়া পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। তবে কিছু কিছু জায়গায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দিনের বেলায় দোকান খুলে বসেন। অবশ্য ক্রেতাদের তেমন দেখা মেলেনি। বনধ ঘিরে হিংসাত্মক ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত কোথাও তেমন কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, বিজেপি দল বনধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।বনধ দিয়ে সমস্যার সমাধান হয় না। তবে আইপিএফটি-বিজেপি'র জোট সঙ্গী দুই দল কথা বলেই রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়। প্রসঙ্গত আইপিএফটি সভাপতি তথা রাজস্ব মন্ত্রী এন সি দেববর্মা ও বিধায়ক বীরেন্দ্র দেববর্মার উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বনধ ডাকা হয়। এডিসি নির্বাচনের পর থেকেই সন্ত্রাসের জন্য আইপিএফটি দায়ী করে আসছে তিপ্রা মথাকে।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
২২শে মে ২০২১