কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের আন্দোলনকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। এটা অহংকারী মনোভাব। এরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। সামনের দিনে এর মূল্য দিতে হবে। কথাগুলো বলেছেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার।
শনিবার পুরাতন রাজভবনের সামনে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার এক বিক্ষোভ সভা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথাগুলো বলেন বিরোধী দলীয় নেতা। তিনি আরো বলেন, ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করায় আন্তর্জাতিক স্তরে বদনাম হচ্ছিল। গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছিলেন তিনি। এর ফল পেয়েছিলেন উনিশশো সাতাত্তর সালের নির্বাচনে। বর্তমানে মোদি সাহেব প্রতিবাদের কণ্ঠ স্তব্ধ করছেন। কারোর কথা, অভাব-অভিযোগ শুনছেন না। তিনি যেন জরুরি অবস্থা থেকে শিক্ষা নেন। এদিনের বিক্ষোভ সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষক সভার রাজ্য সম্পাদক পবিত্র কর,সভাপতি ও প্রাক্তন সাংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।বিক্ষোভ সভা থেকে স্লোগান ওঠে 'কৃষি বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও'। তাদের উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হচ্ছে, কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিল করা, নতুন শ্রম আইন ও বিদ্যুৎ বিল বাতিল করা। পবিত্র কর এদিন তার বক্তব্যে বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করেন। সবাইকে দ্রুত টিকাকরণ, চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা, গরিব পরিবারগুলিকে মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা প্রদান ও মাথাপিছু দশ কেজি করে খাদ্যশস্য প্রদানের দাবি জানিয়ে শ্রী কর বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই তারা এই দাবিগুলি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু সরকার তাদের কর্ণপাত করছে না।
এদিন রাষ্ট্রপতি উদ্দেশ্যে রাজ্যপালের কাছে একটি স্মারকলিপি তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার রাজভবন বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি। রবিবারও বন্ধ থাকছে রাজভবন। তাই সোমবার বেলা একটায় চারজনের এক প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি তুলে দেবেন বলে জানান শ্রী কর।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৬শে জুন ২০২১