আগরতলা পুরো নিগমের এলাকায় করোনা সংক্রমণ কিভাবে রোখা যায় এবং সংক্রমণ বৃদ্ধির কি কারণ তা নিয়ে এক পর্যালোচনা বৈঠক হয় পুর নিগম কনফারেন্স হলে। বুধবারের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ডা. দিলীপ দাস, সদর মহকুমা শাসক অসীম সাহা, পুর নিগমের কমিশনার, স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরাসহ বিশিষ্ট সমাজসেবীরা। বিধায়ক ডা.দাস বলেন,সরকারের কাছে পরিকাঠামোর অভাব নেই। ওষুধ, বেড, অক্সিজেন সবই আছে। সমস্যা হচ্ছে কেউ পজেটিভ হলে তা গোপন করছেন। হয়তো আইসোলেশনে গিয়ে থাকতে হতে পারে এই ভয়ে গোপন করছেন। যারা অসুস্থ দেখা যাচ্ছে তারা অক্সিজেন লেভেল অনেকটাই কমে যাওয়ার পর হাসপাতালে যাচ্ছেন। অক্সিজেন লেভেল ৯০ থেকে ৯৩ এর মধ্যে থাকলেই তিনি হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এই দিনের বৈঠকে পুর নিগম এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়। তা বলা হচ্ছে পজিটিভ রোগীরা করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা গোপন রেখে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দ্বিতীয়তঃ বিভিন্ন জায়গায় মে টেস্টিং হচ্ছে সেখানে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মানুষ টেস্টিং করাতে আসছেন না। মানুষ হাসপাতালে যাচ্ছেন দেরিতে। তাছাড়া সৎকারের ক্ষেত্রে পরিবারের লোকজন কিংবা পাড়া-প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসছে না। তাতে একটা সমস্যা হচ্ছে বলে স্বীকার করেন বিধায়ক ডা. দাস। তিনি এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন হওয়ার উপর গুরুত্ব দেন।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
৯ই জুন ২০২১