রেজার কাজে জাতিগত মেরুকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে ত্রিপুরা ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন ও তপশিলি জাতি সমন্বয় সমিতি। সোমবার এই ইস্যুতে মেলারমাঠ এলাকায় বিক্ষোভ দেখায় দুই সংগঠনের সদস্যরা। এই কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন বিধায়ক রতন ভৌমিক, প্রাক্তন কাউন্সিলর শ্যামল রায়।
শ্রীভৌমিক বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে যে কাজ বন্ধ করে দিতে। বামফ্রন্ট সরকার থাকতে যেখানে ৯৩/৯৪ দিনে কাজ হতো বছরে। এখন তা হয় ৪০ থেকে ৪৫ দিন। কেন্দ্রীয় সরকার এখন চাইছে তপশিলি জাতি, উপজাতি, সাধারণ অর্থাৎ জাতিগত বিভাজন সৃষ্টি করে জনসংখ্যার অনুপাতে কাজ দিতে। সেই অনুপাতে হবে মাস্টার রুল। তিনি আরো বলেন, দেখা যায় তপশিলি জাতি ও উপজাতি অংশের মানুষ রেগার কাজ বেশি করে। অন্যরা তত বেশি করে না। এমন নিয়ম চালু হলে অন্যদের টাকা ফেরত চলে যাবে। আর তপশিলি জাতি, উপজাতির মানুষ যেহেতু সংখ্যায় কম, তারা কাজও পাবে কম। তাই কেন্দ্রীয় সরকারকে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবিতে তাদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। একই সঙ্গে বছরে ২০০ দিনের কাজ এবং বিজেপি সরকারের ক্ষমতায় আসার আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রেগার মজুরি দৈনিক ৩৪০ টাকা করার দাবিতে আওয়াজ তোলেন তারা।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২১শে জুন ২০২১