জরুরি অবস্থার সময় দেশের ইতিহাসে সেই কালো দিনগুলি সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে সচেতন করতে রাজ্যব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করেছে প্রদেশ বিজেপি। সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও এদিন কালো দিবস পালন করা হয়। ইন্দিরা গান্ধী স্বৈরাচারী মনোভাব দেখিয়ে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। কংগ্রেস যতদিন থাকবে এই তকমা নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে। ভুল স্বীকার করলেও তা মুছে যাবে না। বললেন প্রদেশ বিজেপি'র মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য।
শুক্রবার বিকেলে বিজেপি'র কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। কথা বলেন শ্রী ভট্টাচার্য ছাড়াও প্রদেশ সহ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য এবং সাধারণ সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত। শ্রী ভট্টাচার্য আরো বলেন, জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে ছিল সিপিআই। এই স্বৈরতন্ত্রকে সমর্থন করেছিল এরা। কংগ্রেস ও সিপিআই ছাড়া বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের অনৈতিকভাবে আটক করা হয়েছিল। মিসা আইন প্রয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু ২১ মাসের বেশি জরুরি অবস্থা কায়েম করা যায়নি। এর পরের নির্বাচনে ইন্দিরা গান্ধী এর ফল পেয়েছিলেন। পাপিয়া দত্ত বলেন, ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭১ থেকে ৭৬ সাল পর্যন্ত তার স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতা কায়েম করেছিলেন সারা দেশে। ২৫ জুন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। আর ২৬ জুন খবর পাওয়া যায় ৯৮০০ জনের ওপর বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে আটক করা হয়েছে। তৎকালীন সময়ে রাষ্ট্রপতিও জরুরি অবস্থার পরিণতি বিবেচনা না করে ইন্দিরা গান্ধীর আর্জিতে স্বাক্ষর করে দিয়েছিলেন।এদিকে রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, জরুরি অবস্থার ৪৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে সারা দেশেই তারা নানা কর্মসূচির মাধ্যমে কালো দিবস পালন করেছেন।সেই মোতাবেক ত্রিপুরাতেও প্লেকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মিছিল করা হয়। ওই সময়কার কালো দিনগুলো সম্পর্কে মানুষকে বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্মকে সচেতন করে তুলতেই তাদের এই কর্মসূচি বলে জানান তিনি।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৫শে জুন ২০২১