বঙ্কিমচন্দ্র মোট ১৪টি উপন্যাস লিখেছিলেন। তাঁর সৃষ্ট উপন্যাসগুলো আজও সমান প্রাসঙ্গিক।২৬ জুন, শনিবার তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে রবীন্দ্রভবনে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১৮৩ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে এমনটাই বললেন উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মা।
অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রীসহ অতিথিরা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে একাধিক লেখা লিখেছেন সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র বঙ্কিমচন্দ্র। যার মধ্যে অন্যতম আনন্দমঠ। তিনি বলেন, ভাষার উপর তাঁর ছিল অগাধ আয়ত্ত। যে বিষয়ে লিখতেন তাকে ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতা সাহিত্যজগতে খুব কম রয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর বন্দেমাতরম সংগীত দেশকে মা রূপে দেখিয়েছেন। এই সঙ্গীত স্বাধীনতা আন্দোলনকারীদের দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিল। সাহিত্যজগৎ ও ভারতবর্ষের জন্য তাঁর অবদান ভোলার নয়। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এই অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত আকারে করা হয়েছে। আগামী দিনে পরিস্থিতি ভালো হলে বড় আকারে এই জন্মবার্ষিকী করা হবে বলে জানান উপমুখ্যমন্ত্রী।অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দপ্তরের সচিব পি কে গোয়েল, অধিকর্তা রতন বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৬শে জুন ২০২১