ভারত তথা এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি দিলেন শিখরে পৌঁছে যাবার কয়েকটি আইডিয়ার হদিশ। তাঁর মতে, এই পথে চললেই ভারত আগামিদিনে আমেরিকা, চিনের মতো ধনী দেশ হয়ে উঠতে পারবে। এই মুহূর্তে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ, সেকথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রিলায়েন্স কর্ণধার। জানিয়েছেন, গত তিন দশকে ভারতের জিডিপি বহু গুণ বেড়েছে। ঝাঁ চকচকে হাইওয়ে, বিমান বন্দর হদিশ দিচ্ছে কীভাবে উন্নতির শিখরে ওঠার যাত্রা শুরু করে দিয়েছে দেশ। এইবার সময় এসেছে উন্নতির পথকে আরও গতিশীল করে তোলার। তার মতে, ভারতে অর্থনৈতিক সংস্কারের ফায়দা সমাজের সব শ্রেণির উপরে পড়েনি। ভারতের অর্থনৈতিক মডেল এমন হতে হবে যাতে দরিদ্র শ্রেণিও এর থেকে উপকৃত হতে পারে। এর পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দেন, আগামী ৩০ বছরে পৃথিবীতে যে পরিবর্তন আসতে চলেছে তা গত ৩০০ বছরেও আসেনি। প্রথম শিল্প বিপ্লবের ফায়দা ভারত নিতে পারেনি। কিন্তু তৃতীয়বারে সফল হয়েছিল। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতা হওয়ার সুযোগ রয়েছে ভারতের সামনে। প্রযুক্তির উন্নতি ঘটিয়ে দেশ আরও অনেক উন্নতি করতে পারবে বলেই আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
সেই সঙ্গে তিনি জোর দিয়েছেন বিনিয়োগের উপরেও। তাঁর মতে ভারতকে এবার বিনিয়োগকারীদের দেশ হয়ে উঠতে হবে। লো টেক থেকে হাই টেক দেশ হয়ে উঠতে পারলেই অর্থনৈতিক উন্নতির গতি বাড়বে। এর ফলে পণ্য ও পরিষেবার রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এর ফলে ধনী দেশের সম্পদ ভারতে আসবে। সেই সঙ্গে আম্বানির আবেদন, সম্পদ বলতে আমরা যা বুঝি সেই ধারণাকেও বদলানোর সময় এসেছে। এতদিন সম্পদকে মূলত ব্যক্তিগত ও অর্থনৈতিক আকারেই ধরা হয়ে এসেছে। কিন্তু এবার সময় এসেছে সমষ্টিগত সম্পদের। সকলের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রোজগার, গৃহ ও আরও বহু কিছু প্রয়োজন। সোজা কথায় সকলের জন্য উন্নয়ন চাই। স্বাভাবিক ভাবেই এর প্রভাব বাণিজ্যেও পড়বে। সেই সঙ্গে বাণিজ্যিক উদ্যোগের চেহারাও বদলানো প্রয়োজন বলে মনে করেন আম্বানি। আগামিদিনের বাণিজ্যের রূপরেখা সম্পর্কেও সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে আম্বানির আবেদন, সম্পদ বলতে আমরা যা বুঝি সেই ধারণাকেও বদলানোর সময় এসেছে। এতদিন সম্পদকে মূলত ব্যক্তিগত ও অর্থনৈতিক আকারেই ধরা হয়ে এসেছে। কিন্তু এবার সময় এসেছে সমষ্টিগত সম্পদের। সকলের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রোজগার, গৃহ ও আরও বহু কিছু প্রয়োজন। সোজা কথায় সকলের জন্য উন্নয়ন চাই। স্বাভাবিক ভাবেই এর প্রভাব বাণিজ্যেও পড়বে।
আরশিকথা নিউজ
২৪শে জুলাই ২০২১