সাড়ম্বরে গোটা রাজ্যে পালিত হল বনমহোৎসব। শনিবার মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর সরকারী বাসভবনে বৃক্ষ রোপণ করেন। তিনি বলেন, অক্সিজেন প্রদানকারী রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরা অন্যতম। রাজ্যের একটি বড় অংশ বনাঞ্চলে ঘেরা। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন আগে রোপণ হওয়া গাছের ৪০ শতাংশ বাঁচতো। বর্তমান সরকার রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্ব আরোপ করায় ৮০ শতাংশ গাছ এখন বাঁচে। আর তা সম্ভব হয়েছে জনজাগরণ ও সংরক্ষণ পদ্ধতির দিশায়।
এবার বনমহোৎসবের থিম- ঘর ঘর আগর, হর ঘর আগর। মুখ্যমন্ত্রীর নিজেও এদিন আগরের চারা রোপণ করেছেন। তিনি বলেন, আগর গাছকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগর মিশনের মাধ্যমে আগামী দেড় বছর থেকে দু'বছরের মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকার অর্থনীতি গড়ে তোলা হবে।মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, কোন কর্মসূচিকে আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে তার ব্যবহারিক দিকটি গুরুত্বপূর্ণ। কোন কর্মসূচি কত মানুষের রোজগার দিচ্ছে সেই দিশাতেই এই সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, ডেয়ারি শিল্পের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে রাজ্য সরকার। অল্পসময়ের মধ্যেই ত্রিপুরা দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠবে। দুধের চাহিদা মেটাতে ১১০০ কোটি টাকা রাজ্যের বাইরে চলে যায়। তা যেন রাজ্যেই থাকে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে রাজ্য সরকার।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
৩রা জুলাই ২০২১