কিছুটা ছাত্র আন্দোলন, কিছুটা সরকারের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, সব দিক বিচার বিবেচনা করেই ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেছে। ১০০ শতাংশ না হলেও এখন প্রায় সবাই পাস। যারা নবম বা একাদশ শ্রেণিতে অন্তত একটি বা দু'টি পরীক্ষা দিয়েছে তাদেরকেও সেই নম্বরের ভিত্তিতে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা কোনো পরীক্ষাতেই বসেনি যেমন দ্বাদশের প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় বসা বাধ্যতামূলক। যারা প্রেকটিকেল দেয়নি তাদের ১ থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা দিতে হবে। এর জন্য ফর্ম ফিলাপ করতে হবে ২৩ আগস্টের মধ্যে। তাছাড়া যারা পাস করেছে কিন্তু কোন বিষয়ের নম্বরেই সন্তুষ্ট নয়, তাদেরকেও পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার পর্ষদের সভাপতি ড: ভবতোষ সাহা এই কথাগুলি জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, এ বছর থেকে মাধ্যমিকে বেসিক ও স্ট্যান্ডার্ড দুটি বিভাগ ছিল। একই সিলেবাসে কিছু চ্যাপ্টার বাদ দিয়ে বেসিক কোর্স গড়া হয়েছিল। যারা স্ট্যান্ডার্ড এর উপর পরীক্ষা দেবে এবং পাস করবে তাদেরই একাদশ শ্রেণিতে অংক নিয়ে পড়ার অনুমতি মিলবে। কিন্তু এ বছর পর্ষদ এক্ষেত্রেও ছাড় দিচ্ছে। বেসিক নিয়ে যারা পড়েছে তাদেরও একাদশে অংক বিষয় নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতে পারে যদি স্কুল কর্তৃপক্ষ মনে করে। ড: সাহা জানান যেহেতু এবারও করোনা পরিস্থিতি থাকছে তাই আগামীতে যারা পরীক্ষা দেবে তাদের হাফ ইয়ারলি পরীক্ষা হবে ৫০ শতাংশ সিলেবাসের উপর। আর ফাইনাল পরীক্ষা হবে ৫০ শতাংশ সিলেবাসের উপর। তবে অনলাইনে পরীক্ষা হবার সম্ভাবনা কম।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১৭ই আগস্ট ২০২১