Type Here to Get Search Results !

আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন

আবু আলী,আরশিকথা, ঢাকাঃ

যথাযোগ্য মর্যাদায় শোকাবহ পরিবেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন। জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালন উপলক্ষে আগরতলার কুঞ্জবনস্থিত দূতালয় প্রাঙ্গনে দুই পর্বে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রবিবার সকাল ৮টায় প্রথম পর্বে দূতালয় প্রাঙ্গনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, ঘটিকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের শাহাদাৎ বরণকারী সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত/প্রার্থনা এবং ০৮:১৫ ঘটিকায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বেলা ১১ টায় দ্বিতী পর্বে শহীদদের স্মরণে ০১ মিনিট নিরবতা পালন, বেলা ১১:০১ ঘটিকায় জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ১১:০৬ ঘটিকায় জাতির পিতার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও কর্মধারার উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, ১১:৩০ ঘটিকায় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যসহ অনুষ্ঠানের তাৎপর্য তুলে ধরেন মিশনের প্রথম সচিব (স্থানীয়) ও দূতালয় প্রধান এস. এম. আসাদুজ্জামান ।

আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব শ্রী স্বপন ভট্টাচার্য; বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ড. আশিস কুমার বৈদ্য; শ্রী নকুল দাস প্রাক্তন বিধায়ক; শ্রী সুব্রত চক্রবর্তী মুখপাত্র, ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি; বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব শ্রী রঞ্জিত দেবনাথ; বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অধ্যাপক মোঃ মুজাহিদ রহমান; বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ড. দেবব্রত দেব রায়; বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ড. মোঃ মোস্তফা কামাল; বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শ্রী অমিত ভৌমিক এবং অত্র মিশনের প্রথম সচিব জনাব মো. রেজাউল হক চৌধুরী প্রমুখ। সহকারী হাইকমিশনার মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন তাঁর সমাপনী বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সহিত স্মরণ করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ই আগস্টের সকল শহীদকে। তিনি ১৫ই আগস্টের হত্যাকান্ডকে পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম রাজনৈতিক হত্যাকান্ড হিসেবে অভিহিত করে বলেন যে, এই হত্যাকান্ড বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনাকেই শুধু ভূলুন্ঠিত করেনি, রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামোকেও ধ্বংস করেছে। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক ও অভিন্ন। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু থাকবেন ইতিহাসের মহানায়ক হয়ে। এরপর বেলা ১২:৪৫ ঘটিকায় ‘‘মুজিব বর্ষ’’ উপলক্ষে আয়োজিত ‘‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে আকর্ষণীয় পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যাহ্ন ভোজে আপ্যায়িত করা হয়। জাতীয় শোক দিবস পালন অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সিভিল সোসাইটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং আগরতলা মিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দসহ সংশি¬ষ্ট শ্রেণী-পেশার মানুষ মাস্ক পরিধান করে যথাযথ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন অত্র মিশনের প্রথম সচিব (স্থানীয়) ও দূতালয় প্রধান জনাব এস. এম. আসাদুজ্জামান।


আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ

১৫ই আগস্ট ২০২১
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.