(নেপালি কবিতা)
রোজ সকালে
বাবা জল ভরেন
ঘামে শরীর ভিজে যায়
অর্ধেক জল, অর্ধেক ঘাম নিয়ে
ঘরে ঢোকেন।
বাবারই ঘাম পান করে
আমার শিরাগুলো তরঙ্গায়িত হয়
এই শরীরে প্রাণ রয়েছে
কবিতা তো আমার পান করা জলে রয়েছে।
অধিকারের জন্য কথা বলতে চাই আমি
দম্ভভরে তীক্ষ্ণস্বরে কথা বলি
মায়ের কণ্ঠস্বর আমার চেয়ে ভারী
ছুরির মত ধারালো
এতকিছু সত্ত্বে
মা চুপচাপ থাকেন কখনো
সব জেনেও
কিছু না জানার মত
কিছুই পারেন না এমন
অধিকারের জন্য চুপ থাকাটাও যেন কবিতা।
কবিতা বাবার জুতোর ভিতরে, মোজার ছিদ্রে রয়েছে
রয়েছে বাবার আনা মিষ্টান্নে
বাবার না বলা
গণনা না করা হিসাবেও রয়েছে কবিতা।
কবিতা রয়েছে আমার জন্য ছেড়ে রাখা মায়ের অপূর্ণ স্বপ্নে
ত্যাগে
কবিতা মায়ের নাভির ঠিক নীচে
সারা জীবন নিশ্চিহ্ন হতে না পারা দাগে রয়েছে।
কবিতা বাবার কপালে না শুকোনো ঘামে রয়েছে
কবিতা মায়ের চোখে শুকিয়ে যাওয়া অশ্রুতে রয়েছে
কবিতা সেদিনই জন্ম নিয়েছিল
যেদিন মা-বাবার দেখা স্বপ্নটি
স্বপ্ন না হয়ে
'আমি' হয়েছি।
# (কবিতা ‘আমা-বাবা র কবিতা'-এর বঙ্গানুবাদ)
-কৃতিকা দাহাল, দার্জিলিং
অনুবাদ: বিলোক শর্মা, ডুয়ার্স, প.বঙ্গ
১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২১