Type Here to Get Search Results !

প্রয়াণ দিবসে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ শ্রদ্ধায় স্মরণে টিংকু রঞ্জন দাস, আরশিকথা

"মরণ তোমার হার হল যে মনের কাছে

ভাবলে যারে কেড়ে নিলে সে যে দেখি মনেই আছে

মনের মাঝেই বসে আছে।"


 বিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি রচনা করেছেন ৬৫টি উপন্যাস, ৫৩টি গল্প কাহিনী, ১২টি নাটক, ৪টি প্রবন্ধের বই, ২টি ভ্রমণ কাহিনী এবং ৪টি জীবনধর্মী বই। মানবচরিত্রের নানা জটিলতা ও নিগূঢ় রহস্য তাঁর প্রতিটি লেখায় জীবন্ত হয়ে প্রকাশ পেয়েছে। এই সাহিত্যিকের ঝুলিতে রয়েছে রবীন্দ্র পুরস্কার, সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার, পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ খেতাব। ব্রিটিশ ভারতে জন্মগ্রহণ করেছেন, তাই স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে তিনিও নিজেকে মুক্ত রাখতে পারেননি এবং সেজন্য তাঁকে ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে গ্রেফতারও হতে হয়। যদিও এক বছরের বেশি তাঁকে জেলবন্দি থাকতে হয়নি। এর পরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন কলমই হবে উনার অস্ত্র। তিনি নিজেকে সাহিত্যের জন্য সমর্পিত করেন। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বারের জন্য তিনি শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। স্বাধীনোত্তর ভারতেও তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধান পরিষদ ও রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়ে কিছুকাল তাঁর রাজনৈতিক জীবন অতিবাহিত করেন। তাই তাঁর গল্প, উপন্যাসেও রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণার প্রকাশ ঘটতে দেখা যায়। তাঁর লেখার বিষয়বস্তু তে জাতিগত দাঙ্গা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, স্বাধীনতা পূর্ব ও পরবর্তী সামাজিক প্রেক্ষাপট প্রভৃতি বিষয়গুলো নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে উঠে এসেছে। 'চৈতালি ঘূর্ণি', 'জলসাঘর', 'ধাত্রীদেবতা', 'কালিন্দী', 'কবি', 'গণদেবতা', 'হাঁসুলী বাঁকের উপকথা', 'আরোগ্য নিকেতন' প্রভৃতি উপন্যাসের জনক ছিলেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কিছু কিছু উপন্যাস পরবর্তী সময়ে চলচ্চিত্রেও রূপায়িত হয়েছে। ১৯৭১ এর ১৪ই সেপ্টেম্বর বাংলা সাহিত্য জগতের এই নক্ষত্রের পতন ঘটে। বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথা সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও গল্পকারের প্রয়াণ দিবসে তাঁর নিজের কথায়ই আরশিকথা বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।


"এই খেদ মোর মনে

ভালোবেসে মিটলো না আশ-কুলালো না এ জীবনে

হায়, জীবন এত ছোট কেনে?

এ ভুবনে?"


টিংকু রঞ্জন দাস

পরিচালক

আরশিকথা গ্লোবাল ফোরাম

 

১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২১

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.