জিজ্ঞাসো…..স্বপ্ন দেখি কিনা ?
না, তা আমি যে আর দেখি না ।
হ্যাঁ দেখতাম কখনো বা !
চিলে কোঠার পায়রার মতো,
ঘর যে, আমিও বুনতাম ।
আবার কখনো শঙ্খচিলের
ডানায় দিয়ে ভর
উড়তাম আকাশ পানে,
ছিল না ভয়ডর।
এমনি দিনে ডাকলো সে যে
নিয়ে বরণ ডালা।
রাজপুরীতে বাজলো সানাই
পরালো পুষ্পমালা ।
মিথ্যে ছিল সে ডাকে তার
ছলনাতে ভরা !
লোকলজ্জা, স্বার্থ আর অহঙ্কারে গড়া ।
খুঁজেছিলাম সেদিন তাঁর মানবিক সত্ত্বাকে,
সে বেসেছিল ভালো শুধু
আমার সৌন্দর্যতাকে ।
মনে ছিল যে তাঁর সন্দেহের মেঘ।
প্রশ্ন করেছিল ছিন্ন করে ভাবাবেগ ।
বুঝেনি হায় ছিল আমার এরূপ আত্মার ।
মিশেছিল যা একাকার হয়ে বিশ্ব পরমাত্মার ।
আগুনে জ্বলুক এই রূপ আমার
জুড়াক অপমান, অবিশ্বাসের জ্বালা।
নিভুক আজ এই জীবনবাতি
এবার ঘরে ফেরার পালা ।
এমনি সময়ে শুনলাম তাঁর,
অমোঘ, অমর শ্বাশ্বত বাণী,
“ যা কিছু তোর, সব আমারই গরিমা
করবে কে তোকে কলঙ্কীনি?”
দু’আঁখি পরে বারিধারা ঝরে!
গর্ভধারিণী আমার, হে ধরিত্রী মাতা
রেখো ধরে হৃদয়ের পরে,
আমি যে চির নির্বাসিতা ।।
-জ্যোস্মিতা দেব্বর্মণ
ত্রিপুরা
১৪ই নভেম্বর ২০২১