জাওয়াদ ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর রাজ্যে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। রবিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। সোমবারের পর মঙ্গলবার দিন রাজ্যে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিক্ষিপ্ত কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতও হয়। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে বুধবারও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ২৫ ডিগ্রি ও ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৯.৪ মিলিমিটার। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চাইতে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চাইতে ৭.৫ ডিগ্রী বেশি। এদিকে দু-তিন দিনের বৃষ্টিতে মাথায় হাত পড়েছে চাষীদের। অগ্রহায়ণ মাসে চাষীরা আমন ধান ঘরে তোলেন। মাঠেই নষ্ট হচ্ছে পাকা ধান। এছাড়া সবজি চাষীরাও মারাত্মক ক্ষতির শিকার। সবজি খেতে জল জমে যাওয়ায় মুলো, কপি,বেগুন,কাঁচামরিচ নষ্ট হচ্ছে। মাঠেই নষ্ট হচ্ছে ফসল। সবজি মাঠে নষ্ট হচ্ছে তা যেমন ঠিক, তেমনি মধ্যস্বত্বভোগীরা এই সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন এটাও ঠিক। বাজারে এখন সবজির দাম বাড়িয়ে দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন তারা। টানা বর্ষণে হাওড়া সহ বিভিন্ন নদীগুলি জলে টইটুম্বুর। মঙ্গলবার দেখা যায় অনেকেই হাওড়ায় মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
৭ই ডিসেম্বর ২০২১