ভারতে এখনও পর্যন্ত ২৩ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের নয়া স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যেই কেন্দ্রকে ওমিক্রন নিয়ে কড়া সতর্কবার্তা শোনাল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। চিকিৎসকদের সংগঠনের বক্তব্য, স্বাস্থ্যকর্মী, সামনের সারিতে কাজ করা কর্মী ও রোগপ্রতিরোধক্ষমতা কম যাঁদের, তাঁদের জন্য ‘অতিরিক্ত’ টিকার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। নইলে পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। চিকিৎসকেরা এদিন বলেন, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ দ্রুত শেষ করতে হবে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ওমিক্রন নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেন চিকিৎসকদের সর্বভারতীয় সংগঠনটি। তাদের বক্তব্য, ইতিমধ্যে একাধিক রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা বাড়বে বৈ কমবে না। আইএমএ-র বক্তব্য, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো যে সব দেশে প্রথম ওমিক্রনের খোঁজ মেলে, সেখানকার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভাইরাসটি দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম। ফলে খুব তাড়াতাড়ি বহু সংখ্যক মানুষের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেন্দ্রের মাথাব্যথা বাড়িয়ে এদিন আইএমএ-র তরফে বলা হয়, যে সময়ে একটু একটু করে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরছিল দেশে, সেই সময় ওমিক্রন বিপরীত পরিস্থিতি তৈরি করছে। আমরা যদি প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন না করি তবে ভয়ঙ্কর তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে পড়তে হবে। ভারতের ৫০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক কমপক্ষে টিকার একটি ডোজ পেয়েছেন ইতিমধ্যেই। এর ফলেই পরিস্থিতি আগের তুলনায় নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই কথা উল্লেখ করেও আইএমএ চিকিৎসকেরা বলেন, এই কারণেই টিকাকরণে আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত সরকারের। যা ওমিক্রনের দাপট রুখতে সাহায্য করবে। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের কাছে টিকা পৌঁছে দিতে হবে। যাঁরা একটি ডোজ পেয়েছেন, তাঁদের জন্য দ্বিতীয় ডোজের ব্যবস্থা করতে হবে অতি দ্রুত।
আরশিকথা দেশ-বিদেশ
তথ্যসূত্রঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
৭ই ডিসেম্বর ২০২১