ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে আদান-প্রদান আরও বাড়াতে হবে। রবিবার আগরতলা আইসিপি-তে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিএসএফ-এর অবদান ও বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিএসএফ-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ যৌথ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও তাতে ভারতের অবদানের কথা নতুন প্রজন্মকে আরও বেশি করে জানাতে হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বিএসএফ-এর সকল অংশের জওয়ান ও আধিকারিকদের অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মিমি মজুমদার, আগরতলায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারি হাই কমিশনার মোহম্মদ জোবাইদ হোসেন। স্বাগত ভাষণে বিএসএফ-এর ইন্সপেক্টর জেনারেল কে এস বানিয়াল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বিএসএফ-এর ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ত্রিপুরার কয়েকজনকে সংবর্ধনা জানানো হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন নিখিল চন্দ্র ঘোষ, দুলাল চৌধুরী প্রমুখ।
এছাড়া ১৯৯৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে শহীদ বিএসএফ-এর ডিআইজি এস কে চক্রবর্তীর পত্নীকেও সংবর্ধনা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি কফি টেবিল বইয়ের আবরণ উন্মোচন করেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ভারত ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক দল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১২ই ডিসেম্বর ২০২১