প্রয়াত বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্র।তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। রবিবার এই খবর প্রকাশ্যে আসে। শিল্পীকে দাহ করার পরই তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে। এক্ষেত্রে বাবা তথা প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব শম্ভু মিত্রকে অনুসরণ করেছেন তিনি। শম্ভুবাবুর শেষ ইচ্ছাপত্র অনুযায়ী তাকে দাহ করার পরই মৃত্যুর খবর জানা যায়। তেমনটাই হয়েছে শাঁওলি মিত্রর ক্ষেত্রেও। শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের কন্যা শাঁওলি মিত্র। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। ‘ডাকঘর’ নাটকে অমলের চরিত্রে অভিনয় করেন। শুরু সেখান থেকে। ঋত্বিক ঘটকের ছবি ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ ছবি অভিনয় করেন শাঁওলি মিত্র। ২০০৩ সালে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান তিনি। ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী পান তিনি। ২০১২ সালে অভিনয়ে জীবনব্যাপী অবদানের জন্য ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মানে ভূষিত হন তিনি। উল্লেখ্য, শরীর ক্রমশ অসুস্থ হতে থাকায় ২০২০ সালে একটি ইচ্ছাপত্র লেখেন শাঁওলি মিত্র। তাতে তিনি তাঁর অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করার ভার দিয়ে যান অর্পিতা ঘোষের ওপর। সঙ্গে জানিয়ে যান, মৃত্যুর পর যেন মৃতদেহ কাউকে দেখানো না নয়। মৃতদেহের ওপর যেন ফুল না দেয় কেউ। এমনকী হাসপাতালে চিকিৎসা করাতেও অস্বীকার করেন তিনি। রবিবার দুপুরে মৃত্যুর পর অত্যন্ত গোপনে সিরিটি শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সেখানে হাজির ছিলেন অর্পিতা ঘোষ ও পরিবারের হাতে গোনা কয়েকজন। সৎকার শেষ হওয়ার পর তাঁর মৃত্যুসংবাদ প্রকাশ করা হয়।
আরশিকথা দেশ-বিদেশ
তথ্যসূত্র ও ছবিঃ ইন্টারনেট
১৬ই জানুয়ারি ২০২২