গ্রাম স্বচ্ছল হলে ত্রিপুরা স্বচ্ছল হবে। গ্রাম আত্মনির্ভর হলে ত্রিপুরাও আত্মনির্ভর হবে। বর্তমান রাজ্য সরকার গ্রামের প্রতিটি মানুষ বিশেষ করে মা বোনেদের স্বনির্ভরতার মধ্য দিয়ে ত্রিপুরাকে আত্মনির্ভর করতে চাইছে। বুধবার চড়িলামের লীলাদেব স্মৃতি কমিউনিটি হলে সিপাহীজলা জেলায় নিবিড় তুঁত চাষে কিষান নার্সারী গড়ে তুলতে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা একথা বলেন। আই বি এস ডি পি প্রকল্পে সিপাহীজলা জেলার ১,৬০০ জন তুঁত চাষীকে তুঁত চাষের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ধাপে ৩১ কোটি টাকা সহায়তা করা হবে। আজ প্রথম ধাপে উপমুখ্যমন্ত্রী এই জেলার ১৫ জন তুঁত চাষীর হাতে তুঁত চাষ সম্প্রসারণের জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার করে অনুমোদনপত্র তুলে দেন। উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, রেশম চাষে ত্রিপুরার বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা উন্নতমানের রেশম সিল্ক উৎপাদনে সুনাম অর্জন করেছে। তিনি বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ নতুন চিন্তাধারা নিয়ে কাজ করছে। মহিলাদের স্বাবলম্বী এবং স্বনির্ভর করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করছে। রাজ্যের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অতি সম্প্রতি রাজ্যের প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার গরিব অংশের পরিবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘরের মঞ্জুরী পেয়েছেন। আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালনের অঙ্গ হিসাবে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, ত্রিপুরা হ্যান্ডলুম এন্ড হ্যান্ডিক্রাফট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান বলাই গোস্বামী, সিপাহীজলা জিলা পরিষদের শিল্প বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি সঞ্জীব কুমার সিনহা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চড়িলাম পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রাখী দাস কর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হ্যান্ডলুম এন্ড হ্যান্ডিক্রাফট ও সেরিকালচার দপ্তরের অধিকর্তা প্রাণেশ লাল চাকমা।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
৫ই জানুয়ারি ২০২২