আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন যথাযথ মর্যাদায় বর্ণিল আয়োজনে বৃহষ্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উদযাপন করলো।
এদিন সকাল ০৮:৩০ মিনিটে দূতালয় প্রাঙ্গনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে প্রদত্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর শুরু হয় বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ০৩ (তিন) ক্যাটাগরীতে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। পরবর্তীতে সহকারী হাই কমিশনের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে ২য় পর্বের অনুষ্ঠান সূচনা হয়। শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন এবং পরবর্তীতে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। এরপর শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও কর্মধারার উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আমন্ত্রিত অতিথি, সাংবাদিক, আগরতলা মিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাসহ চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের নিয়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জন্মদিনের কেক কাটা হয়। এদিনটির তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা সভাও আয়োজিত হয়।
আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এই মিশনের প্রথম সচিব এস. এম. আসাদুজ্জামান। দিবসের তাৎপর্য এবং বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবন ও আদর্শের উপর আলোচনা করেন ত্রিপুরার বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব স্বপন ভট্টাচার্য, মুক্তিযুদ্ধের মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব শ্যামল চৌধুরী ও সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ।এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মিহির দেব, বিশিষ্ট গীতিকার সুবিমল ভট্টাচার্য, প্রাক্তন মন্ত্রী জহর সাহা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিস ড. আশিষ কুমার বৈদ্য, ড. দেবব্রত দেবরায়, ড. মুজাহিদ রহমান, ড. মোস্তফা কামাল, রাজিত দেবনাথ, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমিত ভৌমিক প্রমুখ।সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ তার সমাপনী বক্তব্যে উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধু একজন সফল রাষ্ট্রনায়কের পাশাপাশি শিশুদের কাছেও ছিলেন ভীষণ প্রিয় ব্যক্তিত্ব। তার দুয়ার শিশুদের জন্য ছিল সবসময় উন্মুক্ত। শিশুদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার নিমিত্তে ও শিশুদের সুরক্ষায় তিনি ১৯৭৪ সালে জাতীয় শিশু আইন প্রণয়ন করেন ও বঙ্গবন্ধু গার্লস গাইড এসোসিয়েশনকে ঢেলে সাজান বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে আকর্ষণীয় পুরস্কার হিসেবে এককালীন শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয় এবং অংশগ্রহণকারী সকল শিশুকে সহকারী হাই কমিশনের পক্ষ থেকে স্মারক প্রদান করা হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন কমিশনের প্রথম সচিব এস. এম. আসাদুজ্জামান।
অনুষ্ঠান শেষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে আকর্ষণীয় পুরস্কার হিসেবে এককালীন শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয় এবং অংশগ্রহণকারী সকল শিশুকে সহকারী হাই কমিশনের পক্ষ থেকে স্মারক প্রদান করা হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন কমিশনের প্রথম সচিব এস. এম. আসাদুজ্জামান।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১৭ই মার্চ ২০২২