Type Here to Get Search Results !

হোলি উৎসবের মূল বিষয় হলো নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলা : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা,আরশিকথাঃ


মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে শনিবার হোলি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জাতি, জনজাতি, মুসলিম, হিন্দুস্থানী প্রভৃতি সম্প্রদায়ের আমজনতা আনন্দ, উল্লাসে এ উৎসবে সামিল হন।

সংস্কার ভারতীর শিল্পীরা “ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল লাগলো যে দোল” উদ্বোধনী সংগীতের মাধ্যমে উৎসবের সূচনা করেন।


এরপর তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বিধায়ক রেবতী মোহন দাস, বিধায়ক ডা. দিলীপ কুমার দাস, বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত, পুর নিগমের কাউন্সিলারগণ, ত্রিপুরা খাদি ও গ্রামোদ্যোগ পর্ষদের চেয়ারম্যান রাজীব ভট্টাচার্য, ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায়, ত্রিপুরা রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান জসীমউদ্দিন, সমাজসেবী কিশোর বর্মণ, সামাজসেবী তথা রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ঝর্ণা দেববর্মণ সহ সাধারণ মানুষ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে আবির দেন এবং তার সুস্থ, সুন্দর ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।



এই আনন্দ উৎসবে মহিলা ও কচিকাচাদের উপস্থিতির হার ছিল লক্ষ্যনীয়। পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এই শুভদিনে ৩৭ লক্ষ ত্রিপুরাবাসীর সুখ, সমৃদ্ধি ও সুন্দর জীবন কামনা করেছেন। তিনি বলেন, হোলি উৎসবের মূল বিষয় হলো নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলা। তিনি বলেন, আমরা একে অপরের সঙ্গে হোলির আনন্দে মেতে উঠব কিন্তু কিছু ব্যবস্থার মধ্যে থেকে আমাদের চলতে হবে। তবেই হোলির আনন্দ সার্থক হয়ে উঠবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটি ব্যক্তির ইতিবাচক ও উদার মন নিয়ে চলা উচিত। এটাই সফলতার মূল বিষয়। শুধু মুখ্যমন্ত্রীকে ইতিবাচক হলে হবে না। সবাইকে হতে হবে। নেতিবাচক মানসিকতা মানুষের জীবনে কোন না কোন পরাজয় ডেকে আনে। তিনি বলেন, মা ত্রিপুরেশ্বরীর আশীর্বাদে ত্রিপুরার এক সময় যে কালো দিনগুলি ছিল সেগুলি থেকে বেড়িয়ে আজ আমরা সুন্দর আলোর দিকে এগিয়ে চলেছি। রাজ্য সরকার চায় ত্রিপুরার প্রত্যেকটি মানুষ সফলতা অর্জন করুক। তিনি বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সামাজিক ভাতা ২০০০ টাকা করা হবে। এবারের বাজেটে সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়েছে। আশা করি দুর্গাপূজার আগে সেটা দিয়ে দিতে পারব। বাকি যা যা বাজেটে এসেছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এগুলো রূপায়ণ করা যায় তার উদ্যোগ চলছে। মহিলাদের জন্য রাজ্য সরকারের চাকুরীতে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, টি এস আর জওয়ানদের রেশন মানি ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,০০০ টাকা করা হয়েছে। ব্যারাক এবং কোয়ার্টার মেরামতের জন্য এই প্রথম ৬ কোটি টাকা আলাদা করে রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ত্রিপুরার প্রতিটি ক্ষেত্রে লাগাতরভাবে মানুষের জন্য এ সরকার উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছে।


আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ


ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ

১৯শে মার্চ ২০২২
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.