Type Here to Get Search Results !

বর্ডারহাট স্থাপনে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়বে: টিপু মুনশি

আবু আলী ঢাকা, আরশিকথা ॥ মিজোরামের সিলসুরি এবং বাংলাদেশের সাজেক সীমান্ত এলাকায় বর্ডার হাট স্থাপনের ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ভারতের মিজোরাম রাজ্য এবং বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য মিজোরাম সীমান্তে একটি বর্ডার হাট স্থাপন করা হবে। মিজোরামের সিলসুরি এবং বাংলাদেশের সাজেক সীমান্ত এলাকায় এ বর্ডার হাট স্থাপনের বিষয়ে মিজোরাম প্রস্তাব দিয়েছে। সোমবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভারতের মিজোরাম রাজ্যের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আর. লালথাংলিয়ানার মিজোরামে একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উভয় পক্ষ এ বিষয়ে একমত হয়েছি। মিজোরামের সঙ্গে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, নির্মাণ সামগ্রী, প্লাষ্টিক ও খাদ্য পণ্যসহ চাহিদা মোতাবেক বিভিন্ন পণ্য মিজোরামে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। সেখানে এসব পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। একই সাঙ্গে মিজোরামের পাথর, হলুদ, আদা, মরিচ, বিখ্যাত বাঁশ ইত্যাদি বাংলাদেশে আমদানি করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এখানে বর্ডার হাট স্থাপনের ফলে মিজোরামের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত হবে। তিনি বলেন, লুসাই পাহাড়ের অবস্থান মিজোরামে, কর্ণফুলী নদী লুসাই পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। নৌপথ ব্যবহার করে মিজোরামের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্য পরিবহন এবং বাণিজ্যবৃদ্ধির সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে। উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে যেসব সমস্যা ও করণীয় রয়েছে সেগুলো যাচাই-বাচাই করে সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেও বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চাই। এজন্য বাণিজ্যবৃদ্ধির পরিবেশ সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করছি। ভারতের মিজোরাম রাজ্যের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর ও নৌপথ ব্যবহার করে উভয় দেশের মালামাল পরিবহন এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। বর্ডার হাটের বিষয়ে উভয় দেশের মানুষের আগ্রহ রয়েছে। এখানে বর্ডার হাট স্থাপন করা হলে উভয় দেশ উপকৃত হবে। উভয় দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপিত হবে এবং বাণিজ্যের সম্ভাবনা বাড়বে। এতে করে উভয় দেশ লাভবান হবে।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট


আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ

২৫শে এপ্রিল ২০২২
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.