Type Here to Get Search Results !

১৯শে মে'র ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন আরশিকথা'র ঃ আগরতলা

আরশিকথা, আগরতলাঃ


মাতৃভাষা মায়ের আবেগভরা স্নেহ মাখানো হাসির মতো । বিশ্বকবি বলেছেন মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধের মতো ।মাতৃভাষা উচ্চারিত হলে মায়ের চেহারা ভাসে চোখে । মাতৃভাষা আমাদের হ্রদয়ানুভূতি মাতৃভাষার অনুভূতি অসীমান্তিক । মাতৃভাষার অনুভূতি জাতি ,ধর্ম ,বর্ণ ,বা রাষ্ট্রের বিচারে বিবেচিত হয় না ।

অমর একুশে যেমন বাঙালির অহংকার, তেমনি মহান উনিশে আমাদের সম্মানবোধ , আমাদের চেতনা । আমাদের হ্রদয়ের এক আকাশ জুড়ে যেমন একুশ আছে, একুশ বাঁচে, তেমনি আমাদের মননের এক অসীমান্তিক জায়গায় পরিব্যাপ্ত হয়ে আছে মহান উনিশে ।একুশ অথবা উনিশ আজ আমাদের সত্বায়, আমাদের মননে । তাই আজ একুশে ফেব্রুয়ারির মতোই উনিশে মে ও এক হ্রদয়ানুভূতি । এ এক প্রতিবাদের ভাষা । এ যেন শপথের প্রস্তুতি, সম্মানের অঙ্গীকার ।

ই মাতৃভাষা বাংলাকে রক্ষা করার জন্য উনিশশো একষট্টি সালের উনিশে মে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের বরাক উপত্যকার কাছাড় জেলার শিলচরে এগারো জন দেশপ্রেমিক মানুষ তৎকালীন আসাম সরকারের পুলিশের গুলির সামনে বুক উঁচিয়ে দিয়ে শহীদের মৃত্যু বরণ করেছিলেন ।আরশিকথা'র উদ্যোগে এবছরও বৃহস্পতিবার গ্লোবাল ফোরামের অন্যতম দুই সদস্য মৃণাল কান্তি পন্ডিত এবং গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবনাথের যৌথ আহ্বানে এক ভাব গম্ভীর পরিবেশের মধ্য দিয়ে ১৯শে মে'র ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।




অনুষ্ঠানটিকে কেন্দ্র করে এদিন ফোরাম সদস্য
মৃণাল কান্তি পন্ডিত এর বাসভবনে রাজ্যের গুণীজনেরা মিলিত হয়েছিলো।যদিও এদিন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকায় আমন্ত্রিত আরও অনেক অতিথি এবং বিশিষ্টজনেরা অংশগ্রহণ করতে পারেননি।তারপরেও যারা দুর্যোগ মাথায় করে এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন তাদের নিয়েই সুশৃঙ্খলভাবে এদিন অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করলেন মৃণাল কান্তি পন্ডিত এবং গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবনাথ।আরশিকথা'র প্রতি এই দুইজন বিশিষ্টজনের দায়িত্বজ্ঞান অত্যন্ত প্রশংসনীয়।এদিনের অনুষ্ঠানে প্রথমেই প্রদীপ প্রজ্বলন এবং পুস্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। এরপর উপস্থিত গুণীজনেরা একে একে বক্তব্য এবং কবিতা পরিবেশনার মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এদিন বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট সাংবাদিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু।তিনি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এতো দুর্যোগের মধ্যেও আরশিকথা'র এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।





এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন বরিষ্ঠ কবি অনিল চন্দ্র নাথ, কবি রেখা দাস, শিবানী ভট্টাচার্য, সন্ধ্যা ভৌমিক, অসীম মজুমদার, লেখক রাজকুমার দেবনাথ এবং দেবশ্রী দেবনাথ।আরশিকথা গ্লোবাল ফোরামের পক্ষে এদিন উপস্থিত ছিলেন রতন আচার্য, শ্যামল কান্তি দে, ডঃ শ্যামোৎপল বিশ্বাস এবং জয়শ্রী দে আচার্য।সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ফোরাম পরিচালক সুস্মিতা ধর।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এদিন আরশিকথা'র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তথা পরিচালক শান্তনু শর্মা সহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত থাকতে পারেননি।

তবে অনুষ্ঠানটি সুন্দর ভাবে সুসম্পন্ন হওয়ায় তিনি আহ্বায়ক
মৃণাল কান্তি পন্ডিত এবং গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবনাথ সহ উপস্থিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।


আরশিকথা হাইলাইটস

২১শে মে ২০২২

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
  1. আরশি কথা পরিবারের একজন সদস্য তথা উনিশে মে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠানের দুই আহ্বাহক আমি মৃণাল কান্তি পণ্ডিত ,গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবনাথ এবং সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি যার পরিচালনায় নান্দনিক হয়ে উঠেছিল -- সেই আয়োজিত অনুষ্ঠান সম্পর্কে আরশি কথার কর্ণধার শান্তনু শর্ম্মা মহোদয়ের এই সুন্দর পরিবেশন -- আগামী দিনের প্রেরণার বাতিঘর হয়ে রইলো। পরিবারের সকলের প্রতি রইলো আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও হার্দিক ভালোবাসা। সকলের সুন্দর সুস্থ জীবন কামনা করছি। আরশি কথা আমার আপনার সকলের পরিবার। ভাষা শহীদদের স্মরণে আবারও জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

    উত্তরমুছুন
  2. " মাতৃভাষা উচ্চারিত হলে মায়ের চেহারা ভাসে চোখে "।
    কবি সত্যিই বলেছেন। কারণ ' মাতৃভাষার উপর আক্রমণ ' এই কথাটা শোনা মাত্রই যেন শরীরের সমস্ত রক্ত ফেনিয়ে ওঠে।
    সেই এগারোটি প্রাণের আত্মবলিদানের ফলে আজকে আমরা বাংলা ভাষায় পড়তে পারছি, লিখতে পারছি, নিঃসংকোচে বাংলা বলতে পারছি। কিন্তু এটা না জানা বাঙ্গালী প্রচুর রয়েছেন দেশে তথা বিদেশে। ২০১০ সালে ইউনেস্কোও বাংলা ভাষাকে পৃথিবীর সবচাইতে মিষ্টি ভাষার মর্যাদা দিয়েছে একথাই বা কজন জানেন। যাই হোক কার ভাষা ভালো বা মন্দ সেটা আমার বলার বিষয় নয়, আসল কথা হলো প্রতিটি মানুষ যেন নিজের মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকেন এটাই কাম্য। তাই চর্চা অবশ্যই করতে হবে। সেদিক থেকে " আরশিকথা " আন্তর্জাতিক বাংলা নিউজ মাধ্যম হওয়ার সুবাদে দেশী-বিদেশী সমস্ত ধরণের পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। তাই এ ধরনের অনুষ্ঠান নিশ্চয়ই একটি জাতির পরিকাঠামো শঙ্খে ফুঁ দেওয়ার কাজটি করতে পেরেছে। প্রতিষ্ঠানটির একজন শুভাকাঙ্খী হিসেবে এতটুকুই বলতে পারি। যথারীতি আমন্ত্রিত হয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারা এবং স্বরচিত কবিতা পাঠ করার সুযোগ পাওয়াতে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। " আরশিকথার " দিন-প্রতিদিন উন্নতি কামনা করি। ধন্যবাদ।

    উত্তরমুছুন