শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করলো আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যসহ অনুষ্ঠানের তাৎপর্য তুলে ধরেন মিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মোঃ রেজাউল হক চৌধুরী।এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী সকলের উদ্দেশ্যে পাঠ করা হয়।পরবর্তীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর শহীদের উপর নির্মিত প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এর পর আয়োজিত আলোচনা সভার শুরুতে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ড. মোস্তফা কামাল, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমিত ভৌমিক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ও গবেষক ড. আশিষ কুমার বৈদ্য এবং বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ড. দেবব্রত দেবরায়।সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ তার বক্তব্যের শুরুতে বলেন, শেখ কামাল ছিলেন আদর্শ বাবার আদর্শ সন্তান। তিনি বলেন, শেখ কামাল ছিলেন ছাত্র ও যুব সমাজের কাছে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব এবং স্বাধীনতা পরবর্তী ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পুরোধা। অতুলনীয় মেধার অধিকারী শেখ কামাল খেলার মাঠ থেকে নাটকের মঞ্চ, সংগীত জগত অথবা বিতর্ক সকল ক্ষেত্রে আলোড়ন তুলেছিলেন। যারা তাঁর সান্নিধ্যে এসেছেন তারা অনুভব করেছেন তাঁর স্নিগ্ধ, হাস্যোজ্জল, মমত্ববোধ সম্পন্ন চরিত্র। সৃষ্টি আর সম্ভাবনায় ঠাসা ছিল তাঁর এই সংক্ষিপ্ত জীবন। সহকারী হাইকমিশনার বলেন, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এর কালরাতে ঘাতকের গুলিতে শহীদ হন। ক্যাপ্টেন শেখ কামাল তাঁর সক্রিয় কর্মজীবন, দৃপ্ত পদচারণা ও অতুলনীয় অবদান- এর জন্যে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে চিরঅনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন এই মিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মোঃ রেজাউল হক চৌধুরী।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
৫ই আগস্ট ২০২২