কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের ই-শ্রম পোর্টালে রাজ্যের ৮ লক্ষ ৩৫ হাজার অসংগঠিত শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ত্রিপুরা জাতীয় স্তরে দশম এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে। মঙ্গলবার সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রম দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং একথা জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রম দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরে সচিব অভিষেক সিং জানান, রাজ্যের অসংগঠিত শ্রমিকদের কল্যাণে শ্রম দপ্তর প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা রূপায়ণ করছে। এই প্রকল্পে ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী যে কোনও ক্ষেত্রের অসংগঠিত শ্রমিক রেজিস্টেশন করে মাসিক ৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত প্রদান করে। কেন্দ্রীয় সরকারও সমান টাকা শ্রমিকের জন্য প্রদান করে থাকে। এই যোজনায় ৬০ বছর পূর্ণ হলে শ্রমিকগণ প্রতিমাসে তিনি ৩ হাজার টাকা করে পেনশন পান। রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ৩৬৪ জন সুবিধাভোগী এই প্রকল্পে রেজিস্টেশন করেছেন। আরও বেশি সংখ্যক শ্রমিকদের এই প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যে শ্রম দপ্তর গ্রামস্তর পর্যন্ত সচেতনতামূলক কর্মসূচি সংগঠিত করছে। সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রম দপ্তরের সচিব জানান, অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে শ্রম দপ্তর অসংগঠিত শ্রমিক সহায়িকা প্রকল্প কার্যকর করেছে। এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত রাজ্যের ১১ হাজার ৬৯৪ জন শ্রমিক রেজিস্ট্রেশন করেছে। তিনি জানান, বিভিন্ন কারখানা বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত শিশু শ্রমিকদের উদ্ধার করার বিষয়েও দপ্তর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে শ্রম পরিদর্শকগণ নিয়মিতভাবে কারখানা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলি পরিদর্শন করে থাকে। তিনি জানান, শ্রম দপ্তরের পরিদর্শকগণ গত দুই অর্থবছরে রাজ্যে অভিযান চালিয়ে ১১ জন শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করেছেন। শ্রম দপ্তরের সচিব জানান, উদ্যোগপতিদের উন্নতমানের পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে শ্রম দপ্তর স্বাগত পোর্টালে লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন সহ আরও বিভিন্ন বিষয়কে অনলাইনে যুক্ত করেছে। এখন পর্যন্ত স্বাগত পোর্টালে বিভিন্ন বিষয়ে পরিষেবা পাওয়ার লক্ষ্যে মোট ১,৩৬৬টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রম দপ্তরের সচিব জানান, শ্রম দপ্তরের অধীন ত্রিপুরা বিল্ডিং অ্যান্ড আদার কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ডের মাধ্যমে রাজ্যের নির্মাণ শ্রমিকদের কল্যাণে ৮টি প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছে বিবাহের সহায়তা, মাতৃত্বকালীন সুবিধা, শিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা, চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা, দুর্ঘটনাজনিত কারণে চিকিৎসার সুবিধা, মৃত্যু, সৎকার্য এবং পেনশনের বিভিন্ন সুবিধা নির্মাণ শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৩শে আগস্ট,২০২২