রাজ্যে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব - সুস্থ কৈশোর অভিযানের তৃতীয় পর্যায়ের বিশেষ কর্মসূচি। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচি রাজ্যের সর্বত্র সংগঠিত করা হবে। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসাবে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের সদর কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা শুভাশিস দাস। সাংবাদিক সম্মেলনে মিশন অধিকর্তা জানান, কৃমিনাশক কর্মসূচি, আয়রণ ফলিক অ্যাসিড (আইএফএ) পরিপূরক কর্মসূচি এবং তীব্রতর ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ পক্ষকাল (আইডিসিএফ), পোষন অভিযান, টিডি ১০/টিডি- ১৬ (টিটেনাস ও ডিপথেরিয়া) টিকার রুটিন ডোজ প্রদান এবং নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ সম্বন্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচিগুলিকে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযানের তৃতীয় পর্যায়ের কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে মিশন অধিকর্তা আরও জানান, এই কর্মসূচিতে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি বিদ্যালয়ে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে, ডিগ্রী, কারিগরি, পলিট্যাকনিক, ভোকেশনাল, আই টি আই ইত্যাদি কলেজে শিক্ষক-শিক্ষিকা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, নোডাল পার্সন্স, এমপিডব্লু-এএনএম কর্মী ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন ওষুধ খাওয়াবেন। ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী/আশাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছেলেমেয়েদের কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াবেন এবং বিভিন্ন ওষুধ বিতরণ করবেন। এমপিডব্লু/এএনএম কর্মী/ কমিউনিটি হেলথ অফিসাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওষুধ বিতরণ করবেন। তাছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন চা-বাগান, ইটভাটা, বস্তি এলাকা, অনাথআশ্রম, বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিবিরের আয়োজন করা হবে।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১লা সেপ্টেম্বর ২০২২