ঘুর্নিঝড় সিত্রাং'র প্রভাবে রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিবাহী ব্যবস্থায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে পড়া ছাড়াও প্রচুর ট্রান্সফরমারে গোলযোগ দেখা দিয়েছে। এরফলে গতকাল রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হলেও বুধবার রাতের মধ্যে আশি শতাংশ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আবহাওয়ার আর অবনতি না হলে বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে সমস্ত জায়গাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকালে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিমিটেডের এমডি দেবাশিস সরকার এই সংবাদ জানান।নিগমের কর্পোরেট অফিস বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে টিএসইসিএল-র এমডি শ্রী সরকার জানান, মঙ্গলবার উত্তর জেলার তুলনায় দক্ষিণ জেলায় ক্ষয়ক্ষতি বেশী হয়েছে। বিলোনীয়া, সাব্রুম, অমরপুর, অম্পি, যতনবাড়ি ইত্যাদি জায়গায় বিদ্যুতের খুটি প্রচুর পরিমাণে ভেঙ্গে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দারুণভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। নিগমের পক্ষ থেকে সঙ্গে সঙ্গেই মেরামতির কাজ শুরু করায় রাজ্যের বেশীরভাগ অংশেই ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা গেছে। এমডি জানান, মঙ্গলবারের ঝড়ে ২৩১টি এইচটি পোল এবং ৩৪২টি এলটি পোল ও ৪৫টি ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকার অঙ্কে এক থেকে দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে শ্রী সরকার জানিয়েছেন। তিনি জানান, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সমস্ত আগরতলা শহরের বিদ্যুৎ পরিবাহী ব্যবস্থা আন্ডার গ্রাউন্ড ক্যাবলের মাধ্যমে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে কাজও এগিয়ে চলেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে টিএসইসিএলের জিএম টেকনিক্যাল হরেকৃষ্ণ দাস ও এজিএম ডিপি এন্ড সি কনকলাল দাস উপস্থিত ছিলেন।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৫শে অক্টোবর ২০২২