Type Here to Get Search Results !

কৃষি হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতির মূল ভিত্তি : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা,আরশিকথাঃ

কৃষকরাই সমাজের প্রকৃত বন্ধু। কৃষকগণ হলেন দেশের অন্নদাতা। কৃষকদের আর্থসামাজিক মানের উন্নয়ন হলেই সমাজের কল্যাণ হবে। দেশের উন্নতি ঘটবে। বৃহস্পতিবার পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার সেকেরকোটে কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, পরিকল্পনামাফিক কাজের মাধ্যমেই সফলতা পাওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বর্তমান কেন্দ্রীয় ও রাজা সরকার কৃষকদের উন্নতির স্বার্থে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে চলছে। তিনি বলেন, এই কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র কৃষকদের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় কাজ করবে। এখান থেকে কৃষকগণ কৃষি কাজের আধুনিকতম পদ্ধতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করতে পারবে। উল্লেখ্য, এই কৃষক জ্ঞানার্জন সেন্টারে ৩০ জন কৃষকের অডিওভিস্যুয়াল পদ্ধতির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেবার সুবিধা রয়েছে। কৃষকগণ তাদের ফসল উৎপাদন সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সেন্টারে যেতে পারবেন এবং পরামর্শ নিতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র থেকে কৃষকরা কৃষি কাজের বিভিন্ন পদ্ধতি যেমন ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদিত ফসলের বাজারজাতকরণ প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষি হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতির মূল ভিত্তি। বর্তমান সরকার আসার পরই কৃষকদের আয় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আগামীতে আরও বাড়বে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময় কৃষকদের প্রকৃত সম্মান দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আত্মনির্ভর ভারত, আত্মনির্ভর ত্রিপুরার গুরুত্ব সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হতে হবে। কৃষকরা সমৃদ্ধ হলেই দেশ আত্মনির্ভর হবে, রাজ্য আত্মনির্ভর হবে। তিনি বলেন, আগামীতে সারা রাজ্যে প্রত্যেকটি এগ্রিকালচার সেক্টর অফিসে একটি করে প্রায় ৮৩টি ফার্মার্স নলেজ সেন্টার গড়ে তোলার রাজ্য সরকারের উদ্যোগ রয়েছে। এই কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র গড়ে উঠলে রাজ্যের কৃষকদের অবশ্যই উন্নতি ঘটবে। পাশাপাশি রাজ্যের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে। তিনি বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার বাস্তবমুখি সরকার। জনগণের সরকার। বর্তমান সরকার কাজের মূল্যায়ন করতে জানে এবং এর মাধ্যমে চলতে জানে। তিনি বলেন, আগে এত উন্নয়ন পরিলক্ষিত হতনা। বর্তমান রাজ্য সরকার মানুষের স্বার্থে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ করে চলছে। তিনি বলেন, রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির স্বার্থে বর্তমান সরকার আগরতলা রেল স্টেশনকে আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে রাজ্যের এমবিবি এয়ারপোর্ট উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে অন্যতম ব্যস্ত এয়ারপোর্ট। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নতিতে খুবই আন্তরিক। মুখ্যমন্ত্রী এই কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্রের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। উল্লেখ্য, আজকের এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা সুবিধাভোগীদের হাতে কৃষি যন্ত্রপাতি এবং সয়েল হেলথ কার্ড তুলে দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়।


আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ


ছবিঃ সংগৃহীত

৩রা নভেম্বর ২০২২


 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.